সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে আজ ইসির বৈঠক।বিশেষ বরাদ্দ ছাড়াই ৪০টি আসনে ইভিএম
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার এবং পাঁচ সিটি করপোরেশনে ভোটের তারিখ চূড়ান্ত করতে আজ সোমবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাঁও কমিশন ভবনে এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ইসি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পাঁচ সিটি করপোরেশনে ভোট করতে চায় ইসি। এরই অংশ হিসেবে বৈঠকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করা হবে। এখানে, কমিশন ২৫ মে সম্ভাব্য ভোটের দিন হিসাবে সোমবার বিস্তারিত ঘোষণা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। একইভাবে খুলনা ও বরিশালে ১২ জুন এবং রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে ২১ জুন ভোট দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই দুটি ছাড়াও, বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহের জন্য দায়ী সাংবাদিক বা গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতি প্রণয়ন এবং বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) এর সাথে সম্পাদিত চুক্তির অনুমোদন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ইসি সচিবালয়ে ৬০ হাজার ব্যবহারযোগ্য ইভিএম রয়েছে। এগুলো দিয়ে সর্বোচ্চ ৪০টি আসনে ভোট দেওয়া সম্ভব হবে। ইসির হাতে থাকা বাকি যন্ত্রপাতি ব্যবহার উপযোগী করতে ২১ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অতিরিক্ত ৬৩০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দের অনুরোধ করা হয়েছে। এই টাকা পাওয়া গেলে ৮০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করতে হবে আর না থাকলে ৪০টি আসনে। আর এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি কমিশন সভায় উত্থাপন করা হবে।
ইসি কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে, ইভিএম নিয়ে সিদ্ধান্তের বিষয় আছে। সিটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে কিন্তু সংসদ নির্বাচনে কতটি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা সম্ভব হবে, মেরামতের জন্য অর্থ চাওয়া হয়েছে, তহবিল পাওয়া যাবে কি না, তা কমিশনের বৈঠকে পর্যালোচনা করা হবে।
২০১৮ সালে, হাতে দেড় লাখ ইভিএম থাকা সত্ত্বেও, ইসি সেগুলি কেবল ছয়টি আসনে ব্যবহার করেছিল। নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনিচুর রহমান বলেন, ইভিএম নিয়ে সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে অর্থ বিভাগের আর্থিক সম্পদের ওপর। ইভিএম রক্ষণাবেক্ষণের জন্য টাকা না পাওয়া গেলে কতটি আসনে ইভিএম ও ব্যালট ভোট হবে বা আদৌ ইভিএম ব্যবহার হবে কি না সে বিষয়ে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
