• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    সিটি নির্বাচন।জাতীয় পার্টির কণ্ঠেও নির্বাচন বর্জনের সুর

    সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। বরিশাল নির্বাচনে প্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সিলেট ও রাজশাহী নির্বাচন থেকে সরে আসে ইসলামী আন্দোলন। সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ার আশঙ্কায় রাজশাহীতে নির্বাচন বর্জনের অনুমতি চেয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র প্রার্থী ডা. জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে প্রার্থীদের ভোটে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া হয়েছে।

    গাজীপুরের পর বুধবার খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেটে ভোট হবে। সোমবার ভোটগ্রহণ শেষ হবে। আগের দিন রাজশাহীতে লাঙ্গল প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসন নীরব দর্শক। কে জিতবে তা নির্ধারণে তারা কাজ করছে।

    সিলেটে জাপার মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল অভিযোগ করেন, ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে আসতে না পারে সেজন্য বহিরাগতদের আনা হয়েছে।

    রাজশাহীর জাপা প্রার্থী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই। একজন প্রার্থী পানির মতো টাকা খরচ করছেন, কোনো নির্বাচনী নিয়ম মানছেন না। কিছুদিন আগেও খুব ভালো পরিবেশ ছিল। সব প্রার্থীই ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যেতে সক্ষম হয়েছেন।

    জাপার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে নির্বাচন বয়কটের অনুমতি চাওয়ার বিষয়ে লাঙ্গল প্রার্থী বলেন, পরিস্থিতি তিনি শীর্ষ নেতাদের জানিয়েছেন। সম্ভব হলে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবো। দল বয়কটের অনুমতি না দিলে আমি মাঠে কাজ করব না। আমি নীরব দর্শক হয়ে থাকব।

    রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ইসলামী আন্দোলন সরে যাওয়ায় তার সামনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। জাপার সাইফুল ইসলাম স্বপন ও জাকের পার্টির অ্যাডভোকেট লতিফ আনোয়ার সুপ্তা। যদিও ইভিএমে ইসলামী আন্দোলনের হাত থাকবে।

    জাপা সাধারণ সম্পাদক বলেন, “রাজশাহীর প্রার্থী বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। সিলেটের প্রার্থী বলেছেন বহিরাগতদের আনা হয়েছে। ভীত-সন্ত্রস্ত দেখছেন দুই প্রার্থীই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তারা খুবই হতাশ। আমরা তাদেরকে বলেছি তারা স্থানীয়ভাবে যা ভালো মনে করে তা করতে পারে।

    মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, জাপার প্রার্থী ও স্থানীয় নেতারা চাইলে নির্বাচন বয়কট করতে পারেন, যদি মনে করেন পরিবেশ ভালো নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া হয়।

    সাইফুল ইসলাম স্বপন দাবি করেন, নির্দিষ্ট কোনো প্রার্থী নির্ধারিত মাপের চেয়ে বড় নির্বাচনী প্রচারণা সামগ্রী লাগিয়েছেন। ম্যাজিস্ট্রেট তা খুললে ওই নেতার কর্মীরা হতবাক হয়ে যান। ম্যাজিস্ট্রেট সেখান থেকে ফিরে আসেন। এত বড় ঘটনার পরও প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। সেই প্রার্থীর দয়ার ওপর নির্বাচনী পরিবেশ কতটা নির্ভর করে তার উদাহরণ এটি। নির্বাচন কিভাবে সুষ্ঠু হবে? সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রকাশ্যে নির্বাচন পরিচালনা করছেন। ইভিএমে ফলাফল আগেই সেট করা আছে। এমনটা হলে ভোটের দরকার কী?

    তবে নৌকার মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ খুবই ভালো। কাউকে প্রচারে বাধা দেইনি। কথা দিচ্ছি, ভোটের দিন পর্যন্ত তাদের জন্য কোনো সমস্যা তৈরি করব না। আমরা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই।

    রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, কোনো প্রার্থী সমস্যা অনুভব করলে সরাসরি অভিযোগ করতে পারেন। মেয়র প্রার্থীরা কেউ বড় ধরনের অভিযোগ করেননি। বাইরে কথা বলে লাভ নেই। ইভিএমে আগে থেকে ফল ঠিক করার সুবিধা নেই।