• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    সাভারে বনখেকো আ’লীগ নেতা।বনের জমি বিক্রি করে পকেটে দেড়শ কোটি টাকা

    সাভারে ভুয়া সরকারি জমি একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির কাছে বিক্রি করে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন আওয়ামী লীগের এক নেতা। ওই নেতার নাম আবদুল হালিম ওরফে ‘হালিম নেতা’। তিনি বিরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি একজন দলিল লেখকও বটে। জালিয়াতির মাধ্যমে বনের জমি বিক্রির অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বন বিভাগ। আদালতে মামলার পর রোববার রাতে সিআইডি অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মোক্তার হোসেনের ভাগ্নেকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় আব্দুল হালিম পালিয়ে যায়।

    মামলার আসামিরা হলেন- বিরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হালিম, তার ভাই আবদুল মালেক, ভাতিজা মোক্তার হোসেন, সহযোগী কবির হোসেন হাওলাদার ও আবাসন কোম্পানি গ্লোরিয়াস ল্যান্ডস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের মালিক একেএম মজিবুল হক।

    মামলার ফাইল অনুযায়ী, ঢাকা বন বিভাগ সাভার সাব-ফরেস্ট বিটের অন্তর্গত বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর মৌজায় ১.৮২ একর জমির মালিকানা এবং দখল করে আছে এবং অন্যান্য সম্পত্তি সহ সিএস এবং এসএ ২২৩, ২৫৩এবং আরএস ৬৪৪, ৬৪৬, ৬৪২ এবং ৬৪৩ নম্বর। আব্দুল হালিম সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে জমির নথি জাল করেন। পরে তিনি সাভার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি নথি উপস্থাপন করেন এবং গ্লোরিয়াস ল্যান্ডস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের কাছে বিক্রি করেন।

    ঢাকা বনবিভাগের কালিয়াকৈর রেঞ্জের বারইপাড়া বিটের ফরেস্টার শহিদুল আলম জানান, বিক্রি করা জমির মূল্য প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। সম্প্রতি আরেকটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, বন বিভাগ জালিয়াতির মাধ্যমে জমি বিক্রি করেছে।

    স্থানীয় কামাল হোসেন অভিযোগ করেন, পাশের কৃষিবিদ ওয়েস্ট ভিউ নামে আরেকটি হাউজিং কোম্পানি তার নিজের প্রায় তিন একর জমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে। এছাড়া বন বিভাগের প্রায় ২০ একর জমিও তারা দখল করে রেখেছে। ব্যক্তিগত সম্পত্তিসহ সরকারি জমি বিক্রির চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

    বিরুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজন বলেন, যারা অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল বা প্রতারণার মাধ্যমে বিক্রি করবে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। এতে দলের কিছু করার নেই।

    অভিযুক্ত আব্দুল হালিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে বারবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

    সাভার মডেল থানার বিরুলিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল কুদ্দুস জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে সিআইডি পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

    মন্তব্য করুন