জাতীয়

সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা কঠিন হবে: ম. তামিম

তামিম বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক এম. তিনি বলেন, ‘অর্থনীতিতে এর প্রভাব অসহনীয় হয়ে উঠবে। করোনা সংকট ও মূল্যস্ফীতির কারণে দরিদ্র মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। অতিরিক্ত দাম বাড়ায় নিত্যপণ্যসহ পরিবহন ভাড়া অনেক বেড়ে যাবে। যা কল্পনার বাইরে। সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা কঠিন হবে।

শুক্রবার রাতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে সরকারকে হয়তো দাম বাড়াতে হয়েছে। কিন্তু একবারে এতটা বাড়ানো যুক্তিসঙ্গত ছিল না। সব সম্ভাবনায়, সরকার জ্বালানি তেলের সম্পূর্ণ ভর্তুকি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। দাম কম বাড়িয়ে সরকার কিছুটা ভর্তুকি রাখতে পারত।

ম. তামিম বলেন, আমি মনে করি সরকার আইএমএফের ঋণ পেতে এই বিপুল পরিমাণ দাম বাড়িয়েছে। সম্ভবত আইএমএফের শর্ত ছিল যে জ্বালানি পণ্যে ভর্তুকি থাকলে তারা ঋণ দেবে না। কিন্তু এক ধাপে প্রায় ৫০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি মোটেও সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। অন্যান্য দেশেও তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু এত বাড়ানো হয়েছে বলে আমার জানা নেই।

বুয়েটের এই অধ্যাপক পরামর্শ দেন, “ভবিষ্যতে বিশ্বে তেলের দাম কমলে সরকারকে অবশ্যই দাম কমাতে হবে।” কিন্তু সাধারণত দেখা যায় বিশ্ববাজারে এ পণ্যের দাম বাড়লে দেশে তা বাড়ানো হয়। কমলে দেশ কমে না। এর আগে বিপিসি (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন) কম দামে আমদানি করে দেশে চড়া দামে বিক্রি করে প্রচুর লাভ করত। তখন আর দাম কমানো হয়নি।

শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে গ্রাহক পর্যায়ে ডিজেলের খুচরা মূল্য প্রতি লিটার ১১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কেরোসিন ১১৪ টাকা লিটার। অকটেন ১৩৫ টাকা লিটার এবং পেট্রোল ১৩০ টাকা লিটার।

মন্তব্য করুন