সহিংসতার অপরাধীকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আসবে।
সিআইডির ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্বালানী পরিকল্পনাকারীরা ঘটনাস্থলে থাকুক বা না থাকুক, তারা অবশ্যই আইনের আওতায় আসবে। বাংলাদেশকে পিছনে ঠেকাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই সহিংসতা চালানো হয়েছে। জেলা পুলিশ, সিআইডি এবং পিবিআই যৌথভাবে মামলাগুলি তদন্ত করছে।
শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন শেষে ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার। আনিসুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিআইডি পুলিশ সুপার মো. শাহরিয়ার রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পঙ্কজ বড়ুয়া, সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান।
সিআইডি এই মামলায় দায়ের করা ৫৫ টির মধ্যে ৯ টি তদন্ত করছে। এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা সদরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের সহিংসতার ঘটনার ঘটনায় দায়ের করা মামলার পাঁচটি তদন্তও সিআইডি পেয়েছে।
ডিআইজি হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, কোনও সভ্য ব্যক্তির পক্ষে এ জাতীয় আচরণ করা সম্ভব নয়। এটি সম্পূর্ণ স্বাধীনতাবিরোধী এবং ইতিহাসবিরোধী বিরোধী কাজ। আমি মনে করি বাংলাদেশকে পিছনের দিকে ঠেলে দেওয়া এই জাতীয় স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের কাজ।
তিনি বলেন, “আমরা এই ঘটনার সাথে কারা জড়িত ছিল তা পর্যালোচনা করছি।” ভিডিও ফুটেজ থেকে অপরাধীদের সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেককে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোনও মামলা বিচারাধীন থাকবে না। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সব মামলা নিষ্পত্তির দিকে এগিয়ে যাব।
হেফাজতে ইসলাম কর্মী ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দাঙ্গা চালিয়েছিল। তারা পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন অফিস, জেলা কাউন্সিল অফিস, পৌরসভা অফিস, আলাউদ্দিন সংগীতঙ্গন, সদর উপজেলা ভূমি অফিস এবং জেলা পাবলিক লাইব্রেরির অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে তাদের আগুন দেওয়া হয়।