• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    সরবরাহ থাকলেও আদা-রসুনের দাম বাড়ছে

    নীরবে বাড়ছে মসলা জাতীয় পণ্য আদা ও রসুনের দাম। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও এক মাসে আদা কেজিতে ৩৫ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা; রসুন ১০ টাকা। তবে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা কমেছে। বাজারে সবজির দাম আগের মতোই চড়া।

    শুক্রবার রাজধানীর মগবাজার, মহাখালী ও কারওয়ান বাজারে এ চিত্র দেখা গেছে।

    সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আমদানি করা আদার দাম। খুচরা ব্যবসায়ীরা এসব আদা কেজি ১৭০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন। এক মাস আগে এর দাম ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। সে অনুযায়ী প্রতি কেজি দাম ৫০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে। দেশি আদা ৮০ থেকে ৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, এক মাসে গড়ে ৫০ শতাংশ বেড়েছে আদার দাম।

    আদার পাশাপাশি বেড়েছে রসুনের দামও। কয়েক মাস আগে এক কেজি রসুন (আমদানি করা বড় দানা) বিক্রি হতো ১০০ থেকে ১২০ টাকায়, এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকায়। দেশি রসুন ৭০ থেকে ৯০ টাকায় কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। এমন এক কেজি রসুন এক মাস আগে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় কেনা হয়েছিল।

    কারওয়ান বাজারের আদা-রসুন বিক্রেতা মহিন আলী জানান, দুই থেকে তিন সপ্তাহ ধরে আদার দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। খুচরা বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। তবে আদার অভাব নেই বলে জানান তিনি।

    গত তিন বছরে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এ বছর তেমন কোনো লক্ষণ নেই। দাম বাড়েনি, কমেছে। এক মাসে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। খুচরা বিক্রেতারা দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা কেজি এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।

    এ বছর চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। শুল্ক হ্রাস, আমদানির অনুমতি এবং বাজার তদারকি জোরদারের কারণে সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে কেজির দাম ৪ থেকে ৫ টাকা কমেছে। কিন্তু ধীরে ধীরে তা বেড়ে আবার আগের অবস্থানে পৌঁছেছে। ছোট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা কেজি, মাঝারি চাল ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা এবং মোটা চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি।

    সম্প্রতি সরকার প্রতি কেজি ৮৪ টাকা দাম নির্ধারণ করলেও বাজারে চিনি আগের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি দাম ৮৮ থেকে ৯০ টাকা খোলা রাখছেন বিক্রেতারা। প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে।

    সবজির বাজার এখনো চড়া। শীতের সবজি পাওয়া যাচ্ছে ফুলকপি, কলমি ও মটরশুঁটিতে। যদিও এগুলো সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। ছোট সাইজের ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা রাখছেন ব্যবসায়ীরা। এক কেজি শিম কিনতে খরচ পড়বে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। টমেটোর দাম একই। গাজরের দাম একটু বেশি। বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।

    এক সপ্তাহে মরিচের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। আগের মতোই প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। এছাড়া কাঁকরোল, চিংড়ি, করলা, বরবটিসহ অধিকাংশ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়।

    মন্তব্য করুন