সরকারের পতন ঘটিয়ে শাওন হত্যার জবাব দেওয়া হবে: মির্জা ফখরুল
সরকারকে পতন করে শাওন হত্যার জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবদল নেতা শহিদুল ইসলাম শাওনের জানাজা শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শাওনের রক্ত আজ আমাদের নতুন করে শপথ নিতে বাধ্য করছে। যে কোনো মূল্যে এই ফ্যাসিবাদী-স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়ে আমরা শাওনের আত্মত্যাগের প্রতিদান দেব।
ফখরুল বলেন, আমরা শপথ নেব- যে শাওন গণতন্ত্র, জনগণের অধিকার ও ভোটের অধিকারের জন্য জীবন দিয়েছেন, আমরা বাংলাদেশের সব মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব। তবেই শাওনের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে শাওনের কফিন নয়াপল্টনে নেওয়া হয়। দলের পক্ষ থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দলীয় পতাকা দিয়ে ঢাকা কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
এর আগে মাগরিবের পর অনুষ্ঠিত জানাজায় বিভিন্ন সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। জানাজা শেষে শাওনকে মুন্সীগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়।
নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনের সড়কে মিছিল করে শাওনের কফিন তুলে দেন। পরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে মশাল মিছিল বের করা হয়।
গত ২১ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি শহরের মুক্তারপুর এলাকার পুরাতন ফেরিঘাট, মুন্সীগঞ্জ শহর ও মিরকাদিম শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে পুলিশের বাধায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মুত্তারপুরে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজ-উল-ইসলাম ও সদর থানার ওসি তারিকুজ্জামানের নেতৃত্বে বিএনপির মিছিল বাধা দিলে মিছিলের ব্যানার কেড়ে নেয় এবং ছিঁড়ে ফেলে এবং লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ. এসময় পুলিশও কাদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিকসহ বিএনপির অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহতদের বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। শাওনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয় এবং লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় তার মৃত্যু হয়।