• বাংলা
  • English
  • শিক্ষা

    সরকারি স্কুলে আজ, কাল বেসরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি

    দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভর্তির লটারি আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। আর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের লটারি অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল। প্রতি আসনে গড়ে পাঁচজন আবেদনকারী রয়েছেন।

    মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক) দুর্গা রানী সিকদার বলেন, সরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি আজ দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। দীপু মনি প্রধান অতিথি থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ড. একই স্থানে আগামীকাল বিকাল ৩টায় বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তি লটারি অনুষ্ঠিত হবে।

    মাউশির উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন জানান, এবার প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সারাদেশের ৫৫০টি সরকারি বিদ্যালয়ে আসন শূন্য রয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৮৯০টি। আবেদন জমা পড়েছে ৬ লাখ ৩২ হাজার ৯০৩টি। সে অনুযায়ী প্রতি আসনে লড়বেন প্রায় ছয়জন প্রার্থী। অন্যদিকে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৯৪টি শূন্য আসনে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন ৯ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ জন। প্রতি আসনে চারজন প্রার্থী রয়েছেন।

    গত ১৬ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম থেকে নবম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে সব ভর্তি সম্পন্ন হবে। মহানগর ও জেলা সদর উপজেলার বেসরকারি স্কুলগুলো কেন্দ্রীয় লটারির আওতায় আসবে। তবে যেসব বেসরকারি স্কুল কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত লটারিতে অংশ নেবে না, তাদেরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত কমিটির মাধ্যমে লটারি করতে হবে।

    মাউশির উপ-পরিচালক আজিজ উদ্দিন বলেন, এবার সরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন স্বাভাবিক হলেও বেসরকারি স্কুলে অপেক্ষাকৃত কম আবেদন এসেছে।

    জানা গেছে, ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে সারাদেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম কেন্দ্রীয়ভাবে সম্পন্ন করবে ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটি। ভর্তি কমিটি ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাবে। ওই তালিকা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তি কমিটি কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

    ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো যৌক্তিক কারণে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে না পারলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় লটারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সেক্ষেত্রে লটারির দিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

    সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটি থেকে প্রাপ্ত নির্বাচিত তালিকা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে এবং নির্বাচিত তালিকা নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেবে। কোনো অবস্থাতেই নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকার বাইরে কাউকে ভর্তি করা হবে না।.

    মন্তব্য করুন