সরকারি নিরাপত্তা সহায়তা প্রকল্পে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেছে জাপান
প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে জাপান বাংলাদেশকে অফিসিয়াল সিকিউরিটি অ্যাসিস্টেন্স বা অফিসিয়াল সিকিউরিটি অ্যাসিসটেন্স (ওএসএ) প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করেছে। শনিবার ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানান। প্রথম বছরের জন্য জাপান যে চারটি দেশকে এই নতুন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
প্যান এশিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট (PARI) জাপান দূতাবাসে ‘বাংলাদেশ-জাপান কৌশলগত সম্পর্কের বাস্তবায়ন: কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. শাহরিয়ার আলম। আলোচনা সভায় জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদের লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্যান পরীর সভাপতি ইউওজি আন্দো এবং নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন।
২০২২ সালে, জাপান ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে ‘সরকারি নিরাপত্তা সহায়তা’ প্রকল্প গ্রহণ করে। এর মাধ্যমে দেশটি অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহায়তার পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় উপকরণ ও সরঞ্জাম সরবরাহ করে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘২০১৪ সালে জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ঢাকা সফর এবং ২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশেষ গতি এনেছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বেড়েছে। এই প্রথম দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চার বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
তিনি বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ বাড়ানোর কার্যক্রম চলছে। এ কাজে সহায়তা করছে জাপান। আগামী দিনে বাংলাদেশ-জাপান একসঙ্গে এগিয়ে যাবে বলেও প্রত্যাশা করেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি করার বিষয়ে গবেষণা চলছে। এটা হলে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।