জাতীয়

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট মঙ্গলবার ‘সম্প্রীতি রক্ষা দিবস’ পালন করবে

পূজা মণ্ডপে হামলার প্রতিবাদে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট মঙ্গলবার সারা দেশে সম্প্রীতির সুরক্ষা দিবস পালনের ঘোষণা দিয়েছে। ওইদিন জোটের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হবে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে। শনিবার বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নাগরিক সমাবেশে জোটের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। যৌথ সাংস্কৃতিক জোট প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে জোটের নেতারা আগামী মঙ্গলবার সারা দেশে ‘সুরক্ষা দিবস’ পালনের ঘোষণা দেন।

নাট্যজান রামেন্দু মজুমদার, মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা.কামরুল হাসান খান, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজিদ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফৌজিয়া মোসলেম, গৌরব ৭১-এরএফএম শাহীন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ,বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মিনু হক, সঙ্গীত সংগঠন সামনবয় পরিষদের সভাপতি মাহমুদ সেল এবং জেনারেশন ৭১ এর সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আব্বাস।

রামেন্দু মজুমদার বলেন, রাজ্যে স্বাধীনতাপন্থী শক্তির ক্ষমতা থাকলেও সমাজ সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী শক্তির হাতে চলে গেছে। আমি শুনেছি নোয়াখালীর চৌমুহনীতে যখন পূজা মণ্ডপে হামলা হয়েছিল, তখন দুপুর ২ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত একজন পুলিশকেও দেখা যায়নি। আরেকজন বলেন যে সেই সময়ে পুলিশের ডিসি বা সাংসদকে ফোনে পৌঁছানো যায়নি। এগুলো কেন? আমরা শুধু দীর্ঘ বক্তৃতা শুনি, ‘কেউ রেহাই পাবে না’, ‘আইনের হাত অনেক লম্বা’। কিন্তু কাউকে কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়নি। কারণ আমরা সকলেই তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো রাজনৈতিক দল। সব রাজনৈতিক দল হয় তাদের প্ররোচিত করছে অথবা তাদের সাথে আপোষ করছে। বাংলাদেশ এভাবে চলতে পারে না।

নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, একাত্তরে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে বীর বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বারবার ষড়যন্ত্র হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশকে সেখান থেকে সরানো যায়নি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। ভবিষ্যতে নয়। যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির অপকর্মের বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিরাজ করবে।

গোলাম কুদ্দুশ আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া গুজবের মধ্যে সরকারি দলের নামধারী অনেক লোক রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যদি এটি না করা হয় তাহলে সরকারী দলকে এই অপকর্মের দায় নিতে হবে।

মন্তব্য করুন