সন্দেহভাজন ব্যাগ ঢাকা মার্কিন দূতাবাসের পাশে
পুলিশ ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের অ্যানেক্স বিল্ডিং থেকে ব্যাগে ভরা বোমাসৃদশ একটি বস্তু উদ্ধার করেছে। ব্যাগটিতে একটি ছুরি, কয়েকটি ম্যাচবক্স, কিছু বৈদ্যুতিক তার এবং ইংরেজীতে লেখা একটি চিঠি পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার বিকেলে দুই যুবক ব্যাগটি ছুরে ফেলে যায়। তিন ঘন্টা পরীক্ষার পরে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের বোমা বিশেষজ্ঞরা বলেন যে ব্যাগে একটি জাল ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইস (আইইডি) রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মার্কিন দূতাবাসের আনেক্স ভবনটি ভাটারা থানার কাছে অবস্থিত। ঘটনার পর থেকে পুলিশ ভবনটিকে ঘিরে রেখেছে। এলাকায় যান চলাচলও সীমাবদ্ধ ছিল। যাইহোক, বোমা বিশেষজ্ঞ সন্ধ্যার পরে ব্যাগের মধ্যে থাকা জিনিসটিকে একটি নকল আইইডি হিসাবে চিহ্নিত করার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ফিরে আসে।
পুলিশের গুলশান বিভাগের জেলা প্রশাসক সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে দু’টি গাড়ি দূতাবাসের বিপরীত দিকের প্রবেশদ্বার দিয়ে অ্যানেক্স ভবনে প্রবেশ করে। ওই সময় সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা দুই যুবককে দেখে কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীরা সেখানে দাঁড়ানোর কারণ জানতে চেয়েছিলেন। তারপরে যুবকদের মধ্যে একটি তার হাতে একটি কালো ব্যাগ ফেলে দেয় এবং তারা উভয়ই পালিয়ে যায়। বিষয়টি থানায় জানানো হলে পুলিশ তত্ক্ষণাত্ এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করে বোমা নিষ্পত্তি দলকে অবহিত করে।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের বিস্ফোরক অর্ডিন্যান্স ডিসপোজাল দলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রহমত উল্লাহ চৌধুরী জানান, তাদের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাগের সামগ্রী অনুসন্ধান করেছে। দীর্ঘ তিন ঘন্টা পরীক্ষার পরে দেখা গেল যে ব্যাগে থাকা বস্তুটি নকল আইইডি ভিতরে একটি ছুরি এবং একটি ছেঁড়া চিঠিও পাওয়া গেছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন যে চিঠির তাৎক্ষণিকভাবে ইংরেজিতে “আমেরিকান সেন্টার”লেখা বোঝা গেছে। বিস্তারিত তদন্ত চলছে।পুলিশের গুলশান বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কূটনৈতিক অঞ্চলটি ইতিমধ্যে সুরক্ষা জোনে রয়েছে। তবে এই ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তা বিস্তৃত করা হয়েছে। পুলিশ ছাড়াও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এই ঘটনাটি তদন্ত করছে। পালিয়ে আসা দুই যুবককে সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।