• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    ‘সন্ত্রাস-নৈরাজ্য’ ঠেকাতে আজ ইউনিয়ন পর্যায়ে আ.লীগের শান্তি সমাবেশ

    রাজধানী ও বিভাগের পর তৃণমূলে ছড়িয়ে পড়ছে আওয়ামী লীগের ‘প্রতিরোধ কর্মসূচি’। বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের চলমান আন্দোলনকে ঘিরে সম্ভাব্য নৈরাজ্য ও সংঘাত-সহিংসতা ঠেকাতে দেশের মাঠপর্যায়ে এ কর্মসূচি সম্প্রসারণ করতে চান তারা। এ লক্ষ্যে আজ সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তি সমাবেশের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল।

    নেতারা বলছেন, বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের চলমান আন্দোলনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নিজ নিজ এলাকায় শান্তি সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে আসছে। এখন পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় পর্যায়ে এ শান্তি সমাবেশের আয়োজন চলছিল। তবে আজ বিএনপি ও তার সহযোগীরা একযোগে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। এর মাধ্যমে আন্দোলনের নামে সারাদেশে সন্ত্রাস-সহিংসতা ও নৈরাজ্য ছড়াতে চায় সরকারবিরোধী দলগুলো। এ অবস্থায় সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য ঠেকাতে সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে এ শান্তি সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। কোনো অবস্থাতেই বিএনপি ও তার সহযোগীদের দেশের কোথাও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না।

    বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে সারাদেশের প্রতিটি জেলার সকল ইউনিয়নে একযোগে আজকের শান্তি সমাবেশের কর্মসূচি পালিত হবে। তবে শান্তি সমাবেশের কোনো নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হয়নি। নিজ নিজ এলাকায় সুবিধামতো সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও জেলা, মহানগর ও উপজেলার নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। দলটির নেতারা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের বছরব্যাপী সাংগঠনিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এসব শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে।

    তবে বিএনপির কর্মসূচির দিন একই ধরনের কর্মসূচিকে যেকোনো পরিস্থিতিতে ‘উল্টো কর্মসূচি’ হিসেবে মানতে নারাজ আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী নেতারা। দলীয় কর্মসূচিতেও তারা এ বিষয়টি জোরদার করার চেষ্টা করছেন। নেতারা জানান, বিএনপির সংঘাত-সহিংস কর্মসূচির কারণে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা যাতে কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয় সেজন্য রাজপথে সতর্কতার অংশ হিসেবে তারা এই শান্তি সমাবেশ করছেন। বিএনপির চলমান আন্দোলন কর্মসূচির দিনে যে কোনো ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সরকার সমর্থক নেতাকর্মীদের তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শুক্রবার দলীয় ফোরামের যৌথসভায় বলেছেন, বিএনপির আগুন ও সন্ত্রাসের ভয়ে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করছে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব। বিএনপি যতদিন প্রতিবাদ করবে ততদিন আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ চলবে। আমরা সেরাটির জন্য প্রস্তুত করব, সবচেয়ে খারাপের জন্য সতর্ক থাকব।

    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই কোনো কর্মসূচি দেয় তখনই কোনো কোনো গণমাধ্যম বিএনপির কথার প্রতিধ্বনি করে একে ‘পারস্পরিক কর্মসূচি’ বলে। আওয়ামী লীগের প্রতিদিন কর্মসূচি থাকলেও বিএনপির বিরুদ্ধে নয়। আওয়ামী লীগ নিয়মিত বৈঠক করছে না। বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছে। আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করছে। ওবায়দুল কাদেরের প্রশ্ন, ‘বিদেশি দাতাদের টাকায় সরকার পতনের ষড়যন্ত্রমূলক পথে হাঁটছে বিএনপি। তাহলে কেন আমরা কর্মসূচি বাদ দিয়ে মাঠ খালি রাখব?’

    মন্তব্য করুন