সন্ত্রাস করলে পালানোর পথ পাবে না বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস শুরু করলে পালানোর পথ পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের অপরাধ আকাশচুম্বী, ক্ষমার অযোগ্য- ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাদের ইতিহাসে আওয়ামী লীগের পালানোর রেকর্ড নেই। ২০০৭ সালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আর রাজনীতি করবেন না বলে অঙ্গীকার নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যান। তাদের প্রধান নেতা পলাতক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি ২৮ অক্টোবর বলেছে, আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। শেষ পর্যন্ত দেখলাম, কারা কোথা থেকে পালিয়েছে, এটা বিএনপি। আমাদের পালানোর কোনো রেকর্ড নেই। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস শুরু হলে বিএনপিকে পালাতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে যেতে চাইলে আমরাও রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করব। তারা আবার সন্ত্রাস করলে আমরাও একইভাবে মোকাবেলা করব। এ বিষয়ে আগে থেকে কিছু বলতে চাই না।
তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে আওয়ামী লীগের দরকার নেই। তাদের নেতিবাচক রাজনীতিই যথেষ্ট। নির্বাচনে না এসে বিএনপি যে বড় ভুল করেছে তার খেসারত তাদের দিতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাইরে থেকে কেউ বিএনপিকে সমর্থন ও শক্তিশালী করবে এমন পরিস্থিতি নেই। যারা তাদের ক্ষমতা দেখাবে তাদের শক্তি মধ্যপ্রাচ্যে সংকুচিত হচ্ছে। এটা এখানে বিস্তৃত হবে ভাবার কোনো কারণ নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে বাংলাদেশে আসছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যা বলেছেন তার বাস্তবায়ন আমরা দেখব।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে কারা আসছেন তা নিয়ে ভাবছি না। ইসরাইল তাদের প্রেসিডেন্টের কথা শোনে না। আমরা যারা জনগণের নির্বাচিত সরকার, আমরা কাকে ভয় পাব?’
১৪ দলীয় জোট আছে কি না, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৪ দলীয় জোট আছে। জোটের নেতা শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন, জোট আছে এবং সঠিক সময়ে আলোচনায় বসবেন।
উপজেলা নির্বাচনে এমপি মন্ত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদের প্রার্থিতা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে তাদের শাস্তি পেতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৭৩ জন সংসদ সদস্য মনোনয়ন পাননি, মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন ২৫ জন- শাস্তি নানাভাবে আসতে পারে।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।