জাতীয়

সকাল থেকেই বিএনপি নেতারা সমাবেশস্থল অভিমুখে মিছিল শুরু

খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই সমাবেশস্থলে যেতে শুরু করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। শনিবার নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে সোনালী ব্যাংক চত্বরে সভাস্থলের উদ্দেশে রওনা হন দলটির নেতাকর্মীরা।

এদিকে দুই দিনের হরতালের কারণে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি ও দলের অঙ্গসংগঠনের নেতারা ট্রাক, মাইক্রোবাস ও ট্রলারে করে খুলনায় আসছেন। তারা নগরীর পাওয়ার হাউস মোড়, রেলস্টেশন এলাকায় মিলিত হন এবং সেখান থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যাচ্ছেন।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপির খুলনা বিভাগের গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সকাল ৬টা থেকে সমাবেশ মঞ্চ থেকে বক্তৃতা চলছে। জনসভায় যোগ দিতে শুক্রবার রাতে খুলনায় পৌঁছেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।

আজ সকাল ছয়টায় ডাকবাংলো মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। সমাবেশস্থলের প্রায় ৩০০ মিটার এলাকায় অবস্থান করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সমাবেশ মঞ্চ থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ১২০টি মাইক দেওয়া হয়েছে। মঞ্চের নিচে বক্তব্য রাখছেন বিভাগের বিভিন্ন জেলার নেতারা।

নগরীর পাওয়ার হাউস মোড়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোল্লা মফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ভোর ৫টায় তারা খুলনায় পৌঁছান। কিছুক্ষণের মধ্যে মিছিলটি সমাবেশস্থলের উদ্দেশে রওনা হবে।

খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন জানান, শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ সম্পন্ন করতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। সমাবেশে ড্রোন ক্যামেরার নজরদারি থাকবে। এছাড়া সমাবেশের শৃঙ্খলা রক্ষায় ৪০০ জন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন সরকার, জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতা-কর্মীদের হত্যা, হামলা-মামলার প্রতিবাদে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। মিথ্যা মামলা। কেন্দ্রীয় এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহের পর বিভাগীয় শহর খুলনায় দলটির তৃতীয় গণসভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

মন্তব্য করুন