শ্রমিকদের দুই পক্ষের বিরোধে ভোমরা স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ
শ্রমিকদের দুই পক্ষের বিরোধের কারণে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে পণ্য লোড-আনলোডসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। রোববার সকাল থেকে স্থলবন্দরে এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
শ্রমিকদের দাবিকৃত শ্রম বিল পরিশোধে ব্যবসায়ীদের অস্বীকৃতি এবং শ্রমিক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীদের মারধরের কারণে বন্দরে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক হাদিউজ্জামান বাদশা জানান, অযৌক্তিক দাবির কারণে শনিবার হঠাৎ করে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। গতকাল সন্ধ্যায়, কিছু প্রতিবাদী শ্রমিক এবং সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা ভারত থেকে বন্দরে আসা একটি ফলের ট্রাক থেকে অন্য ট্রাকে পণ্য লোড করছিল। এ সময় অপর পক্ষের শ্রমিকরা তাদের ওপর হামলা চালায়।
তিনি জানান, এ ঘটনায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী সমিতির দুই সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ঘটনার সঠিক বিচার না হওয়া এবং হামলাকারীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত আমরা তপস্যা ঘোষণা করেছি।
ভোমরা স্থলবন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের এক পক্ষের নেতা হাফিজুল ইসলাম বলেন, মালামাল খালাসের কারণে প্রতি ট্রাকে ১২০০ টাকা দাবি করে আমরা গতকাল কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তাদের বাধা দিলে হাতাহাতি হয়।
ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এজাজ আহমেদ স্বপন জানান, প্রতি ট্রাকে পণ্যবাহী শ্রমিকের বিল ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়। তবে শ্রমিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ১১০০ টাকা পর্যন্ত বেতন দিতে রাজি হয়েছি। ৪টির মধ্যে ২টি শ্রমিক সংগঠন তা মেনে নিয়ে গতকাল কাজ শুরু করেছে। কিন্তু বাকি দুই সংগঠনের কর্মীরা ১২০০ টাকা দাবি করে কাজ বন্ধ করে দেন। এ বিষয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এদিকে গতকাল দুপুরে হঠাৎ করে কয়েকজন শ্রমিক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কর্মচারীদের মারধর করে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান জানান, সকাল থেকে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কর্মীরা কলম বন্ধ ঘোষণা করেছেন। ফলে বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এ ঘটনায় আহত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।