জাতীয়

শেখ হাসিনার রায়ের আগে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন

জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায়ের আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) ভোর থেকেই পর্যাপ্ত সংখ্যক সেনা সদস্য মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে সেনা সদর দপ্তরে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। গতকাল রবিবার (১৬ নভেম্বর) সেনা সদর দপ্তরে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এর আগে, এই মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবারও সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সেনাবাহিনী মোতায়েন করার জন্য একটি চিঠি পাঠিয়েছিল। তখন সুপ্রিম কোর্ট ও ট্রাইব্যুনালেও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলার রায় আজ ঘোষণা করা হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী। এর আগে, ১ জুন ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা এবং তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করে রাষ্ট্রপক্ষ। আনুষ্ঠানিক অভিযোগে তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়।
অভিযোগগুলো হলো- গত বছরের ১৪ জুলাই গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনার উস্কানিমূলক বক্তব্য; হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ দেওয়া; রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা; রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় ছয় বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে পুড়িয়ে মারা। ট্রাইব্যুনাল ১০ জুলাই এই পাঁচটি অভিযোগে তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে।
অভিযুক্ত শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান পলাতক। এই মামলায় একমাত্র গ্রেফতারকৃত আসামি হলেন প্রাক্তন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। উল্লেখ্য, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের দিন (১০ জুলাই) প্রাক্তন আইজিপি মামুন গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছিলেন। তিনি সেদিন রাজকীয় সাক্ষী হওয়ার জন্য আবেদনও করেছিলেন।