জাতীয়

শেখ হাসিনার মামলার পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ কী হতে পারে?

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় এ মামলার শেষ ধাপ নয়। আইনে নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী রায়ের বিরুদ্ধে তারা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করার সুযোগ পাবেন। তবে দুজনই পলাতক থাকায় আপিলের অধিকার পেতে হলে আত্মসমর্পণ বা গ্রেফতার হতে হবে।
রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হয় এবং আপিল দায়েরের ৬০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তির বিধান রয়েছে। আপিল বিভাগ চাইলে ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখতে, সংশোধন করতে বা বাতিল করতে পারে। আপিলের পরও অসন্তুষ্ট হলে দণ্ডিত ব্যক্তিরা রিভিউ বা পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন, যা বিচারিক প্রক্রিয়ার শেষ ধাপ।
রিভিউতেও মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে দণ্ডপ্রাপ্তরা রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারবেন। সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি দণ্ড মওকুফ, কমানো বা স্থগিত করার ক্ষমতা রাখেন।
এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুযায়ী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে জুলাইয়ের সহিংসতায় নিহত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো বাস্তবায়ন করবে।
রায়কে “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” ও “পক্ষপাতদুষ্ট” বলে আখ্যা দিয়ে ভারত থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে শেখ হাসিনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।