• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    শেখ হাসিনাকে সহজে  ফেরত দেবে না ভারত।

    বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি ভারতের বিবেচনার বিষয়। প্রত্যর্পণ চুক্তি সত্ত্বেও নয়াদিল্লি চাইলে ঢাকার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারে। চুক্তিতে প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই শেখ হাসিনাকে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হবে কি না তা নিশ্চিত নয়।

    গত সোমবার দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কূটনৈতিক চিঠি হস্তান্তর করে। অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করতে চায়।

    তবে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে ভারত এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

    এই অনুরোধটি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।

    ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তির শর্তে ‘রাজনৈতিক প্রকৃতির’ কোনো অনুরোধ বাস্তবায়ন করা যাবে না। ভারতের জন্যও শেখ হাসিনার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি উগ্রবাদ দমন এবং উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে ভারতের স্বার্থ রক্ষা করেছেন।

    ভারতীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান ড. ইউনূস সরকারের চাপ সত্ত্বেও তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না ভারত। ভারত এই ধরনের প্রত্যর্পণের অনুরোধ পরীক্ষা করবে এবং এতে কয়েক মাস সময় লাগবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতে অতিথিদের স্বাগত জানানোর একটি দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে, যার একটি উদাহরণ দালাই লামা।

    সূত্রগুলো মনে করছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরলে তার জন্য অনিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

    প্রতিবেদনে ভারতের ঐতিহ্যবাহী অতিথি অভ্যর্থনার উদাহরণ উল্লেখ করা হয়েছে এবং দালাই লামার মতো বিষয়গুলোও এই সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিষয়টি খুবই জটিল ও সময়সাপেক্ষ বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

    শ্রীরাধা বলেন, “নিঃসন্দেহে, এটা (শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ) খুবই জটিল প্রক্রিয়া। এখানে রাজনৈতিক বিবেচনাসহ আরও কিছু বিষয় রয়েছে। তা ছাড়া বাংলাদেশের বিচার বিভাগ কতটা নিরপেক্ষ তাও ভারত বিবেচনা করবে।

    এছাড়াও কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা আছে।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশ থেকে ভারতকে শুধু কূটনৈতিক চিঠি দেওয়া হয়েছে, কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়নি। ভারত সেটাও বিবেচনায় নেবে। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে কতটা ন্যায়বিচার দেওয়া হবে, সেরকম আরও নানা বিষয় রয়েছে। বাংলাদেশের শেখ হাসিনা।” একই প্রশ্নের জবাবে সোহেলা নাজনীন বলেন, “২০১৩ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত প্রত্যর্পণ চুক্তিতে প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণত, যে কোনো প্রত্যর্পণ চুক্তিতে এমন কিছু শর্ত থাকে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো দেশ মনে করে যে। কোনো ব্যক্তিকে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে ন্যায্য বিচার হবে না, তাহলে চুক্তিভুক্ত দেশগুলোর কোনোটিই প্রত্যর্পণের অনুরোধে সাড়া নাও দিতে পারে এবং ভারত সরকার বলতে পারে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে ভারত যেটা করবে সেটাই ভালো।” শিরিন হক বলেন, ভারত অতীতে প্রত্যর্পণ চুক্তির অধীনে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের প্রত্যর্পণ করেছে এবং নয়াদিল্লি শেখ মুজিব হত্যা মামলার আসামি আবদুল মাজেদকে ফেরত পাঠিয়েছে। যেহেতু ভারত অতীতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের প্রত্যর্পণ করেছে, তাই এবারও ঢাকার প্রত্যর্পণের অনুরোধে সাড়া দেবে দেশটি।

    Do Follow: greenbanglaonline24