শীতে উপকারী যেসব ভেষজ
আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে সাথে শীতে বিভিন্ন রোগ এবং শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। এক্ষেত্রে হলুদ, পার্সলে, আদা থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি উদ্ভিদ বেশ কার্যকর। এই সময় নিয়মিত ভেষজ উপাদান খেলে উপকারিতা পাওয়া যায়।
হলুদ: প্রাচীন কাল থেকেই হলুদের উপকারিতা আয়ুর্বেদিক ওষুধে উল্লেখ করা হয়েছে। এর অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানগুলি দেহের একাধিক সমস্যা নিরাময় করতে পারে। মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার পাশাপাশি হজমশক্তি, কার্ডিওভাসকুলার জটিলতা, মূত্রথলির সমস্যা এবং রক্ত পরিষ্কারের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হলুদে উপস্থিত কারকুমিন উপাদান পেশী এবং জয়েন্টের ব্যথা উপশম করতে পারে। হলুদ যেমন অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ তাই এটি মানসিক অবসাদ দূর করতেও সহায়তা করে।
পার্সলে: পার্সলে ভিটামিন এ, সি, কে, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং একাধিক খনিজ লবণ থাকে। সুতরাং পার্সলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগও দূর করতে পারে। পার্সলে পাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও খুব উপকারী।
আদা: আদাতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানগুলি সর্দি, বিভিন্ন ভাইরাল ফিভার, পেশী ব্যথা এবং অন্যান্য অসুস্থতা থেকে মুক্তি দেয়। এর অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদানগুলি শরীরকে সতেজ রাখে।
মেথি: মেথি প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আয়ুর্বেদিক ওষুধেও মেথির উল্লেখ রয়েছে। অনেকে মেথি ভিজিয়ে পানি পান করেন। তবে অঙ্কুরিত মেথি মেথির পানি ছাড়া খাওয়া যেতে পারে। যে কোনও তরকারী বা তরকারিতেও মেথি খাওয়া যেতে পারে। মেথি ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রাও বজায় রাখে।
গোলমরিচ: এই গুল্মের একাধিক সুবিধা রয়েছে। দেহের সুস্থতা বজায় রাখতে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে পুদিনার রস খাওয়া যেতে পারে। পুদিনা পাতা ভালভাবে ধুয়ে এবং চিবানো যেতে পারে। পুদিনা বিভিন্ন সালাদ, রস বা সস ব্যবহার করতে পারেন। পুদিনা পাতা কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, দুর্গন্ধ, ঠান্ডা এবং অবসাদ সহ একাধিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভূমিকা রাখে।
এগুলি ছাড়াও রোজমেরি, ধনিয়া, তুলসির মতো ভেষজ উপাদানগুলিও শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।