শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ।সিরাজগঞ্জে তীব্র শীত ও হিমেল হাওয়া বইছে, জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
সিরাজগঞ্জে তীব্র শীত, হিমেল হাওয়া ও কুয়াশার কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রম। এ অঞ্চলের নিঃস্ব ও দিনমজুর পরিবারগুলো শীতে চরম দুর্ভোগে পড়ে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও হিমেল হাওয়া বইছে। কুয়াশায় সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। কয়েকদিন ধরে এ অঞ্চলে তীব্র শীতের প্রভাব বাড়ছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় মহাসড়কে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। তবে দূরপাল্লার অধিকাংশ যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। এটি চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
হিমেল হাওয়া ও তীব্র শীতের কারণে জেলা ও উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে ভিড় দেখা যায়নি। তবে এই শীত ঠেকাতে বিভিন্ন জায়গায় গরম কাপড় কিনতে হচ্ছে এবং যানজটে যাত্রী না থাকায় রিকশাসহ ছোট যানবাহনের চালকরা শীতের কাপড়ে মুড়ে অবস্থান করছেন। এমনকি এ অঞ্চলের কৃষকরা মাঠে নামার জন্য হিমশিম খাচ্ছে এবং অনেক জায়গায় আগুনের গর্ত জ্বালিয়ে এই শীতে সাহসিকতা করছে। হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসিএমএ ওয়াদুদ জানান, সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় মহাসড়কে শামুকের গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। তবে বিকেলে কুয়াশা কিছুটা সরে যাওয়ায় যানবাহনের গতি বেড়ে যায়। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এই জেলায় এখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতকালে ঘন কুয়াশা নতুন কিছু নয় এবং এখনো তেমন কোনো শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়নি। তবে এ অঞ্চলের সীমান্তবর্তী দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, রংপুর, লালমনিরহাট, রাজশাহী ও নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘন কুয়াশা, বরফ বাতাস ও তীব্র শীতের প্রভাব বাড়ছে। এ বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও গৃহায়ণ কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে জেলার সব উপজেলায় ইতোমধ্যে সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে ৫০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে এবং তিনি উল্লেখ করেন যে এসব কম্বলের চাহিদা আরও বাড়বে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।