শীতলক্ষায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ: কার্গোর আটককৃত ৫ শ্রমিককে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে
নারায়ণগঞ্জের একটি কার্গো এমভি এসকেএল -৩ এর পাঁচ ক্রু সদস্যকে শীতলক্ষ্যা নদীতে পেছন থেকে ধাক্কা মেরে ডুবিয়ে দেওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাদের দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে। শুক্রবার গ্রেপ্তার হওয়া ১৪ জন ক্রু সদস্যের মধ্যে পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল।
শুনানি শেষে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাকি ৯ কর্মচারীর জামিন আবেদন বাতিল হয়ে গেলে তা প্রত্যাখ্যান করা হয় এবং তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
যাদের রিমান্ড করা হয়েছে তারা হলেন জাহাজের মাস্টার ওয়াহিদুজ্জামান, সুকানি আনোয়ার মল্লিক, পাইলট মজনু মোল্লা, গ্রিজলি ফাহান মোল্লা এবং হৃদয় হাওলাদার।
গত রবিবার মুন্সীগঞ্জগামী লঞ্চ এমএল সাবিত আল হাসান শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে নির্মিত তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর কাছে একটি মালবাহী জাহাজ এসকেএল -৩ এর ধাক্কায় এতে ৩৪ জন যাত্রী নিহত হয়। ২৯ জন লোক সাঁতারে তীরে উঠতে সক্ষম হন।
ঘটনার চারদিন পর জাহাজটি মুন্সিগঞ্জের মেঘনা নদীর গজারিয়ায় নোঙ্গর করা অবস্হায় আটক করা হয় জাহাজটিকে দুর্ঘটনার পরে আটকা পড়তে না পেরে রঙ বদলাতে জাহাজটিকে গজারিয়ার একটি ডকইয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, বৃহস্পতিবার নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গত বৃহস্পতিবার গনশুনানি করেছে। দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রী, প্রত্যক্ষদর্শী এবং নিহতদের স্বজনরা সেখানে অংশ নেন।