• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধনস্থলে প্রধানমন্ত্রী

    রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করতে উদ্বোধনী স্থানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সকাল ১০টার পর তিনি উদ্বোধনী স্থানে আসেন। এরপর তিনি ঘুরে ঘুরে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পরিদর্শন করেন। শিগগিরই এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

     প্রতি বছর ১৬ লাখ অতিরিক্ত যাত্রী সেবার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল আজ শনিবার উদ্বোধন করা হচ্ছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে টার্মিনালটি সম্পূর্ণরূপে চালু হবে। নতুন টার্মিনালটি সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর সহ অনেক বিখ্যাত ভবনের স্থপতি রোহানি বাহারিন দ্বারা ডিজাইন করা হয়। এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়ামের (এডিসি) মাধ্যমে এ টার্মিনাল নির্মাণে কাজ করছে জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং কোরিয়ার স্যামসাং।

    উদ্বোধনের পরপরই বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইট তৃতীয় টার্মিনাল ব্যবহার করে ঢাকা ছেড়ে যাবে বলে জানা গেছে। সেই ফ্লাইটের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এয়ারলাইন্স দ্বারা করা হবে। উদ্বোধনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএবিএ)।

    এই প্রকল্পের মেয়াদ চার বছর হলেও তিন বছর নয় মাস নির্মাণের পর পুরোপুরি দৃশ্যমান হচ্ছে তৃতীয় টার্মিনাল।

    এ প্রকল্পের ব্যয় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাইকা ঋণ দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা, সরকার দিচ্ছে ৫ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা।

    হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ১৯৮০ সালে যাত্রা শুরু করে। এখন পর্যন্ত দেশের প্রধান বিমানবন্দর দুটি টার্মিনাল দিয়ে চলাচল করত। এই টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩০টি এয়ারলাইন্সের প্রায় ১২০ থেকে ১৩০টি ফ্লাইট ছেড়ে যায়।

    এসব ফ্লাইটের ১৯ থেকে ২১ হাজার যাত্রী প্রতিদিন এই বিমানবন্দর ব্যবহার করেন। বিমানবন্দরে বর্তমানে যে দুটি ছোট টার্মিনাল চালু রয়েছে, তা এই যাত্রীদের মানসম্মত সেবা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। এ কারণে মূল টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে নতুন টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। জাপান একটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) এই টার্মিনালটির রক্ষণাবেক্ষণ এবং গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব নিচ্ছে।

    বেবিচক সূত্র জানায়, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে টার্মিনালটির পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব জাপানের কাছে হস্তান্তরের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি চূড়ান্ত হতে আরও ছয় মাস সময় লাগতে পারে।

    নতুন টার্মিনাল নির্মাণের পর সুইস এয়ার, এয়ার কানাডা, এয়ার ফ্রান্সসহ অন্তত ১৫টি নতুন বিদেশী এয়ারলাইন্স ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।