লিটন-মুস্তাফিজদের হারিয়ে খুলনা চ্যাম্পিয়ন
বড় রান করতে পারেননি জামকন খুলনা। তবে ফাইনালের কথা বিবেচনা করে মাহমুদউল্লাহর ১৫৫ রানকে ছোট বলার উপায় ছিল না। শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলায় সেই রান তাড়া করতে নেমে শক্ত ব্যাটিং ও বোলিং দল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের হেরেছে ৫ রানে।
খুলনার দেওয়া দেড়শ রানের তাড়া করে গাজী গ্রুপ চিটাগাং একটি দুর্দান্ত শুরুর আবাস দিয়েছিল। তবে তারা চাপে পড়ে যায় যখন স্যেম্য সরকার ব্যক্তিগত ১২ রান করে আউট হয়ে যায়। এরপরে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ৭ রান করে ফিরেন।মেরেখেলতে পছন্দ করেন লিটন দাস, নিজের কাঁধে বাড়ে চাপ । তিনি চাপ সামাল দিতে পারেননি ২৩ বলে ২৩ রানের বেশি করতে পারেননি। ৫১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পরে শামসুর রহমান চট্টগ্রামকে আশা দেন।জয়ের জন্য চট্টগ্রামের শেষ ৪ ওভারে ৪৭ রান দরকার ছিল। জাতীয় দলের ফাস্ট বোলার আল আমিন হোসেন ১৭তম ওভারে ৭ রান দিয়েছিলেন। তবে পরের ওভারে শহিদুল ইসলাম ১১ রান করেন। শেষ দুই ওভারে সমুদ্র সৈকতের সামনে ২৯ রানের লক্ষ্য দারায়। তারা ১৯ তম ওভার থেকে তরুণ ফাস্ট বোলার মাহমুদ হাসানের দ্বারা ১৩ রান তুলেনেন।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৬ রান দাঁড়ায় মোসাদ্দেক-সৈকতের সামনে। কিন্তু সেই রান তাড়া করতে পারেননি তিনি। পরিবর্তে দুজনেই শহীদুলের করা ওভারের তৃতীয় এবং চতুর্থ বলে আউট হন। শেষ পর্যন্ত নাহিদুল একটি ছক্কা মারায় চট্টগ্রাম ব্যবধানটি কমে আসে।
এর আগে জামকুন খুলনা ৪৮ বলে ৭০ রানের মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দুর্দান্ত ইনিংসের সাথে লড়াইয়ের পুঁজি পায়। জাকির হোসেন (২৫), আরিফুল হক (২১) এবং শুভাগত হোম চৌধুরী (১৫) দলের রানে অবদান রেখেছেন। ফাইনালে গাজী গ্রুপের চট্টগ্রামের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন শরিফুল ও নাহিদুল। মুস্তাফিজুর রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেন একটি করে উইকেট নেন। খুলনা শহিদুল দুটি এবং আল আমিন, মাহমুদুল হাসান ও শুভগাট হোম একটি করে উইকেট নেন।