জাতীয়

র‌্যাবকে নয়, হাসিনা সরকারকে নিষিদ্ধ করতে হবে: চট্টগ্রামে ফখরুল

দেশে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে। আমি বলি এটি হতে দেওয়া হবে না, শেখ হাসিনা সরকারকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আর চট্টগ্রামে শুরু হওয়া আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে সারাদেশে। যার মাধ্যমে সরকারের পতন হবে।

বুধবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনি মানুষকে কম খেতে বলেছেন। কম বিদ্যুৎ জ্বালান। দেশে দুর্ভিক্ষ হবে। তাহলে আপনি আছেন কেন? আগেই বলেছি, সাইফ এক্সিট করেন। নিরাপদে চলে যান। নইলে পালানোর পথ পাবেন না। এই সরকার নির্বাচিত সরকার নয়। তাই সবকিছু লুট করে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। দেশের মানুষ গরিব হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার ১০ টাকার চাল এখন ৭০ টাকা। চালসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে তিন থেকে পাঁচ গুণ। ভবিষ্যতে বিদ্যুতের দামও বাড়ানো হবে। পেট্রোল, গ্যাস, পানির দামও বাড়ানো হয়েছে। দাম বাড়ার কারণে তারা জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে কানাডার বেগমপাড়া ও লন্ডনে বাড়ি করছেন। আর আমার দেশের মানুষ না খেয়ে মরে। অনেক বড় কথা বলে। কিন্তু দেশের ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে।

নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনার ডিসি-এসপিদের বলছেন নির্বাচন ঠিক করতে। ডিসি এসপিরা বলছেন, আমরা আপনার সঙ্গে একমত নই। আমরা শুধু শেখ হাসিনার কথাই মেনে চলি। আপনি তাদের সাথে নির্বাচন করবেন। এদেশের মানুষ নির্বাচন হতে দেবে না। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না। তাই আমরা খুব স্পষ্ট করে বলেছি, সে কারণেই আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। সরকার হবে সব দলকে নিয়ে জনগণের সংসদ। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সকল দলকেই হতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা: শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্করের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা: খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন প্রমুখ। মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এসএম ফজলুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবে রহমান শামীম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনর রশীদ, সহ-গ্রাম সরকার সম্পাদক বেলাল আহমেদ, কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন ও হুম্মাম কাদের চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান প্রমুখ।

মন্তব্য করুন