বিজ্ঞান ও প্রজক্তি

রেড লেডির ফলন পাহাড়গুলিতে ভালভাবে বাড়ছে

খাগড়াছড়ি পাহাড়ি জেলা যা  পাহাড় এবং সমতলভূমি নিয়ে গঠিত। মাটির অনুকূল আবহাওয়া এবং টপোগ্রাফির কারণে খাগড়াছড়িতে সম্প্রতি রেড লেডি জাতের পেঁপের চাষ বাড়ছে। কৃষ্ণ কৃপায় চাকমা দিঘিনালা উপজেলার ভৈরফায় রেড লেডি জাতের পেঁপে তৈরি করছেন। তার বাগানে সারি সারি পেঁপে গাছের। প্রতিটি গাছে ২০ থেকে ৩০টি পেঁপে ঝুলছে।

কৃপাময় চাকমা বলেন, ৯ মাস আগে আমি এক একর জমিতেসাড়ে ৬শ রেড লেডি জাতের পেঁপে গাছ লাগিয়েছি। ব্যয় হয় প্রায় ১ লাখ টাকা। এখন ফলন পাচ্ছি। ইতোমধ্যে  ৭০হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে পেঁপে। তিনি জানান, কমপক্ষে তিন লাখ টাকার পেঁপে বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।

কৃপাময় চাকমার সাফল্যের কারণে একই এলাকার জনতন চাকমা ও কালাইয়া চাকমা সহ একাধিক লোক রেড লেডি জাতের পেঁপে চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। কৃষকদের মতে, ২ গ্রাম বীজের দাম সাড়ে ৬শ টাকা। তা ছাড়া এটি বেশ ব্যয়বহুল চাষাবাদ। সরকার প্রণোদনা দিলে কৃষকরা রেড লেডি চাষে বেশি আগ্রহী হত।

বর্তমানে পাইকাররা প্রতি কেজি ৪৫ টাকায় রেড লেডি জাতের পেঁপে কিনছেন। স্থানীয় বাজারে খুচরা বিক্রি হয় ৭৫টাকায়। পাইকাররা জানান, রেড লেডি জাতের পেঁপে সরাসরি ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন সুপারমার্কেটে যায়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রে জানা গেছে, রেড লেডি জাতের পেঁপে খুব সুস্বাদু। গাছ লাগানোর ৬ থেকে 9৯মাসের মধ্যে ফল পাওয়া যায়। পেঁপের গড় ওজন প্রায় দেড় থেকে দুই কেজি।

দিঘিনালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওঙ্কর বিশ্বাস জানান, পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি কৃষকরা রেড লেডি চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। দেশি পেঁপের চেয়ে এর উৎপাদন বেশি। ফলস্বরূপ, কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে। তিনি জানান, প্রতিবছর রেড লেডি জাতের পেঁপের রোপণ ২ হেক্টর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মন্তব্য করুন