• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    রাশিয়া থেকে সার ও গম আমদানির চেষ্টা চলছে।আজ মস্কোতে বৈঠকে বসছে দুই দেশ

    সরকার রাশিয়া থেকে গম ও সার আমদানির চেষ্টা করছে। সাড়ে তিন লাখ টন গম এবং ১২০ হাজার টন এমওপি বা পটাশ সার আমদানিতে কাজ করছেন দুই দেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা। মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট সম্প্রতি বলেছে যে রাশিয়া থেকে কৃষিপণ্য এবং চিকিৎসা সামগ্রী আমদানিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। এরপর ওই দেশ থেকে সরকার সার ও গম আমদানি শুরু করে।

    গতকাল মঙ্গলবার কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রাশিয়া থেকে সার ও গম আমদানি নিয়ে আলোচনা চলছে। বুধবার (আজ) মস্কোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আশা করছি, শিগগিরই ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

    ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া থেকে আমদানি বন্ধ রয়েছে। রাশিয়ার ওপর ব্যাংকিং লেনদেনসহ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এলসি খোলা, নিশ্চিতকরণ গ্রহণ এবং মূল্য পরিশোধের মতো কারণে; অন্যদিকে, কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচল এখনও নিরাপদ নয়। যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি রাশিয়ার কৃষি ও খাদ্য আমদানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।

    বাংলাদেশের গম আমদানির অন্যতম উৎস ছিল রাশিয়া ও ইউক্রেন। মোট গম আমদানির ২৫ শতাংশ এসেছে এই দুই দেশ থেকে। বাংলাদেশের সারের অন্যতম উৎস ছিল রাশিয়া। সার আমদানিতে দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি MEU রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, গত অর্থবছরে রাশিয়ার ১৮০ হাজার টন এমওপি সার সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধ শুরুর আগ পর্যন্ত মাত্র ৬০,০০০ টন সার আমদানি করা হয়েছিল।

    কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, রাশিয়া থেকে সার আমদানি নিয়ে আলোচনা চলছে। গত বছরের চুক্তি থেকে অবশিষ্ট ১২০.০০০ টন এমওপি সার আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। তবে পেমেন্ট লেনদেনের ব্যবস্থা, পরিবহন, জাহাজ বীমা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা চলছে। যতদূর জানা যায়, রাশিয়া অন্য কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশে এই সার সরবরাহ করবে। এই কর্মকর্তা বলেন, দেশে প্রতি বছর সাড়ে সাত লাখ টন এমওপি সারের চাহিদা রয়েছে। ইতিমধ্যে কানাডা থেকে সাড়ে ৫ লাখ টন আমদানির বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। অক্টোবর থেকে দেশে মপসের চাহিদা বাড়বে। শীঘ্রই আমদানিও শুরু হবে। এ ছাড়া টিএসপি সারের চাহিদা চার লাখ টন। ইতিমধ্যেই চাহিদার চেয়ে বেশি।

    গম আমদানির বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করছে। বাংলাদেশের খাদ্য সচিব ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অনলাইনে আলোচনা করেছেন। রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে গম সরবরাহ করতে আগ্রহী। এ বিষয়ে খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, গম আমদানি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। রাশিয়া থেকে গম পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    মন্তব্য করুন