রাতের খাবার খাওয়ার পর কফি পান করা কি ভালো?
অনেকেরই রাতের খাবারের পর এক কাপ কফি খাওয়ার অভ্যাস আছে। রাতের খাবারের পর চা বা কফি পান করা ক্ষতিকর কি না তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
উইল কোল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গের ফাংশনাল মেডিসিনের ক্লিনিক্যাল ডিরেক্টর এবং চিকিৎসক wellandgood.com-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলেছেন, খাবারের পর কফি পান করা ভালো না খারাপ তা অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। এই ক্ষেত্রে, কে কতটা এবং কী ধরনের কফি পান করছে তা দেখা গুরুত্বপূর্ণ।
উইল কোল বলেছেন উচ্চ-মানের কফি একটি পুষ্টি-ঘন পানীয়। যা বেশি ক্যাফেইন সরবরাহ করে। এছাড়া কফিতে রয়েছে পলিফেনল, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলি দীর্ঘস্থায়ী রোগ এবং এমনকি মৌসুমী অ্যালার্জি থেকে রক্ষা করে।
উইল কোল বলেছেন কফি পান করা হজমেও সাহায্য করতে পারে। এটি গতিশীলতা এবং মসৃণতা উন্নত করে পরিপাকতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু কফি প্রত্যেককে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করে।
অনেক লোকের ক্যাফিন বিপাক করার ক্ষমতা নেই, কোল বলেন। সেক্ষেত্রে ক্যাফেইন শরীরে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। এর ফলে দুশ্চিন্তা, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, মনোযোগের ঘাটতি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। তার মতে, সারাদিনে কয়েকবার কফি পানে অভ্যস্ত হলেও সন্ধ্যার পর কফি না খাওয়াই ভালো। বিকাল ৩টার পর কফি না খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
কোল বলেছেন কফি হজম এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যে ভূমিকা পালন করে। কিন্তু এতে থাকা ক্যাফেইন অনেক ক্ষেত্রে ঘুমের অভাব, অন্ত্রের জটিলতা এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। এ কারণে সন্ধ্যার পর পান না করাই ভালো।
ডেট্রয়েটের স্লিপ ডিসঅর্ডারস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের ২০১৩ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ঘুমানোর ছয় ঘণ্টা আগে ১৬ আউন্স বা এক কাপ কফি পান করলে ঘুম এক ঘণ্টা কমে যায়। তবে রাতে এক কাপ কফি পান হজমে সাহায্য করে। তবে এটি ঘুমের গুণমানকে প্রভাবিত করে।
কফির বিকল্প পানীয় হিসেবে ড. কোল সন্ধ্যায় আদা চা পান করার পরামর্শ দেন। এটি সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এছাড়া এই চা পরিপাকতন্ত্রের জন্যও উপকারী। আর আদার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে।