রাজধানীতে দুই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে
রাজধানীতে দুই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে, খন্দকার ফকিহা নূর (২২) নামে একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উত্তরার তার বাড়িতে পাওয়া গেছে। অর্ণাজ আহমেদ (১৯) নামে আরেক শিক্ষার্থী ধানমন্ডির একটি বহুতল ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মারা যান।
শুক্রবার সকালে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে অর্ণাজ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ছাদ থেকে পড়ে মারা যান। তবে পুলিশ তার মৃত্যু দুর্ঘটনা বা আত্মহত্যা কিনা তা খতিয়ে দেখছে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ফকিহা উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টর ৭ নম্বর রোডের ২৯ নম্বর বাড়ীতে পরিবারের সাথে থাকছিলেন। তার বাবা খন্দকার আনোয়ার হোসেন ও মা রোজি বেগম। সকালে তারা মেয়েকে ডাকাডাকি করে সাড়া পাননি। পরে মেয়ের কক্ষে ঢুকে তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক জানান, আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মর্গে রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ধানমন্ডি ১৫/এ ৫৯/১ নম্বর রোডের দশম তলার ছাদ থেকে পড়ে এক ছাত্র মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাত ২ টার পরে এই ঘটনা ঘটে। পরে সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
পরিবারের বরাত দিয়ে ধানমন্ডি পুলিশ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া বলেন, এ-লেভেল পাস করার পর অর্ণাজ ওয়াশিংটনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। তবে করোনার কারণে তিনি দেশে থাকছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে, তিনি কোনো কারণে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। রাতে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে তিনি ছাদে যান। এর কিছু সময় পরই তার পড়ে যাওয়ার আওয়াজ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তার বাবা তাহমিদ আহমেদ আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। দুই বোনের মধ্যে আরনাজ বড় ছিলেন। ময়নাতদন্তে তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।