রমজানে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ
আসন্ন পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, যানজট, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহসহ সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সচিবদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। এতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়, মন্ত্রী শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), সেতু বিভাগ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমান বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা তাদের বিভাগের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। রমজানে কোনোভাবেই যেন পণ্যের দাম না বাড়ে সে বিষয়ে সতর্কতা বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সতর্ক থাকতে এবং মজুতদারি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়। এছাড়া ইফতার ও সেহরির সময় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবারের রমজানে দেশে খাদ্য ও নিত্যপণ্যের মজুদ রয়েছে অনেক বেশি। এছাড়া বাজারে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাওয়া যায়। আমরা সঠিকভাবে রোজার প্রস্তুতি নিতে পেরেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হলে কারও কোনো সমস্যা হবে না। আমরা রমজান ও ঈদ খুব ভালোভাবে উদযাপন করতে পারি।
তিনি বলেন, রমজানে নিত্যপণ্য যাতে মানুষের কাছে পৌঁছায় এবং সাপ্লাই চেইন ঠিক থাকে সেজন্য আমরা সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি। সরকার নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ওএমএস প্রোগ্রাম এবং টিসিবির মাধ্যমে রমজান ও ঈদকে ঘিরে দুই কিস্তিতে খাদ্যপণ্য সরবরাহ করা হবে। তেল, চিনি, ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ ও খেজুর দেওয়া হবে দ্বিগুণ থেকে এক কোটি মানুষকে। রমজানে মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করতে প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান মুখ্য সচিব।
এ ছাড়া বৈঠকে ঈদ ভ্রমণের সহজ টিকেট নিশ্চিতকরণ, মহাসড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা, ঈদের আগে সড়ক ও সেতু মেরামত, সমুদ্রপথে ফেরি বৃদ্ধি, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন রোধ, আকাশপথে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বৃদ্ধি এবং পোশাকের বেতন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। পাটকলের শ্রমিকরা।