• বাংলা
  • English
  • বিবিধ

    রমজানে চট্টগ্রামের ভোগ্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল

    রোজা শুরুর সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকেই চট্টগ্রামে ভোগ্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল। জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকে। ধনেপাতা থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, কাপড়-চোপড়, রমজানের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বাড়ছে।

    মঙ্গলবার (১২ মার্চ) নগরীর রিয়াজউদ্দিন, কাজী দেউরী ও বহদ্দারহাট বাজারগুলোতে দিনভর ক্রেতাদের ভিড় ছিল। বিশেষ করে বিকেলের পর অফিসে ফেরার ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

    একটু কম দামে পণ্য কেনার আশায় এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ছুটছেন। রোজা শুরুর আগের দিন সব মার্কেটেই ক্রেতারা ইফতার সামগ্রী কিনতে যান।

    অন্যদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম না কমলে তাদেরও কমার কোনো সুযোগ নেই। তাই দাম কমাতে যা করতে হবে তা করতে হবে পাইকারি বাজারদেরই।

    ক্রেতাদের অভিযোগ, রমজান আসতেই সব পণ্যের দাম বেড়েছে অন্তত ২০ টাকা। সব বড় বাজারে পণ্যের দাম একই। এজন্য তারা বাজার সিন্ডিকেটকে দায়ী করেন। এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের ওপর জোর দেন তারা।

     বাজারে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। কিছুদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ টাকায়। ইফতারের শরবতে বহুল ব্যবহৃত লেবু বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। ভালো মানের শসা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। প্রতি কেজি খিরা ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। গাজর বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।

     দেশি ধনে পাতা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। বাজার ভেদে ছোলা কেজি প্রতি ১০৫-১০৭ টাকা, মটর ৮০-৮৩ টাকা, মসুর ডাল ১৩৫ টাকা, খেসারি ১৩০ টাকা, ছোলা ৯৮-১০০ টাকা এবং মুগ ডাল ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিড়া ৮০-৯০ টাকা, পেঁয়াজ ১২০-১৪০ টাকা, রসুন ও আদা ২১০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

    স্বস্তি নেই মাংস বাজারের ক্রেতাদেরও। এখানে এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয় ৮০০ থেকে ৯৫০ টাকায়। মুরগির মাংসের দাম কেজি প্রতি  ব্রয়লার মুরগি ২০৫ থেকে ২১০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা এবং ফলের বাজারেও আগুন জ্বলছে। আপেল বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি, কমলা ২৫০-৩৫০ টাকা কেজি, আঙুর ২৫০-৩৫০ টাকা এবং তরমুজ ১৫০ টাকা কেজি দরে।