• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    যে কোনো মূল্যে এলপিজির ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে: প্রতিমন্ত্রী

    বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, যেদিকেই তাকাই, এলপি গ্যাসের দাম ১০০-২০০ টাকা বেশি। যেকোনো মূল্যে ন্যায্যমূল্যে এলপিজির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

    রোববার সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর ইপিবি মিলনায়তনে হোটেল রেস্তোরাঁয় এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান ড. নুরুল আমিন।

     প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ২০০৯ সালে দেশে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) বার্ষিক ব্যবহার ছিল মাত্র ৪৭ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে, এলপিজির বার্ষিক ব্যবহার ১৪.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টনের বেশি। তাই এলপিজি ব্যবহারে সমসাময়িক বা আধুনিক নীতিমালা জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি

    প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন যে এলপিজি কোথায় ব্যবহার করা হবে তার একটি নির্দেশিকা থাকা দরকার। এলপিজি স্টেশন যাতে সর্বত্র স্থাপন না হয় সেজন্য নীতিমালা থাকা দরকার।

    আমাদের দেশ উন্নয়নশীল, এখন আমাদের এই বিষয়গুলো দেখতে হবে। নিয়ন্ত্রককে জনগণের সঙ্গে কাজ করতে হবে।

    নসরুল হামিদ বলেন, ডিলারশিপ নিয়োগে এলপিজি অপারেটরদের মনিটরিং করতে হবে। ডিলারের সাব-ডিলার, তারপর খুচরা বিক্রেতা কয়েকবার ঘুরে যায় এবং দাম বেড়ে যায়।

    বিইআরসি মনিটরিং করছে, অপারেটরদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। প্রয়োজনে বিইআরসি লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা নিতে পারে।

    উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নুরুল আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, বিইআরসি সচিব ব্যারিস্টার মোঃ খলিলুর রহমান খান, কমিশনের সদস্য ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, ডাঃ মোঃ হেলাল উদ্দিন, আবুল খায়ের। আমিনুর রহমান, মোঃ কামরুজ্জামান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিইআরসি সদস্য ড. মোঃ হেলাল উদ্দিন।