• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    যে কারনে ক্যু ও সু চিকে গ্রেপ্তারের নিন্দায় ।পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন

    বাংলাদেশ মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানায়নি। একই সঙ্গে মিয়ানমারে গ্রেপ্তার হওয়া স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি-র মুক্তি চেয়েও বাংলাদেশ দাবি করেনি। যদিও বিশ্বজুড়ে অনেক গণতন্ত্র মিয়ানমারের পরিস্থিতিকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং সু চির মুক্তি দাবি করেছে, বাংলাদেশ কেন করছে না? একে আবদুল মোমেন।

    বুধবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ওরা (মিয়ানমার) আমাদের প্রতিবেশী।” অন্যেরা নিন্দা জানিয়েই শেষ। রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন করা হয়। তারা (পশ্চিমারা) কিছুটা নিন্দা জানিয়েই শেষ। তারা এসে আমাদের ঘাড়ে চাপল ।

    “মিয়ানমারে বহু বছর ধরে একটি সামরিক সরকার ছিল,” তিনি বলেন। যেমনটি আমরা বলেছি, আমরা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করি। আমরা এই নীতি অনুসরণ করি। আমরা চাই যে অন্যান্য দেশেও গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটুক। আমরা মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ধরে রাখতে দৃ ড়ভাবে অনুরোধ করছি।

    “মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশী,” তিনি বলেন। তাদের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ মিয়ানমারে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চায়। বাংলাদেশ আশা করে যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিজস্ব স্বার্থে কথা বলছে। মধ্যপ্রাচ্যের মতো বড় গন্ডগোল চায় না বাংলাদেশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সু চির মুক্তি দাবি করেনি। রোহিঙ্গারা সু সু কুতুপালংকে রোহিঙ্গা শিবিরে এসে তাদের পরিস্থিতি দেখতে চাইতে পারে। তিনি বলেন, মিয়ানমারে একটি নির্বাচিত ও গণতান্ত্রিক সরকারের সময় রোহিঙ্গাদের উপর নৃশংস নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। এটি কেউ গ্রহণ করতে পারে না।

    সভার কোনও প্রতিক্রিয়া নেই

    মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পরে তাদের বাংলাদেশের সাথে কোনও যোগাযোগ ছিল না। বৃহস্পতিবারের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মহাপরিচালকের (ওয়ার্কিং গ্রুপ) বৈঠক হবে কিনা তা নিয়ে গতকাল বিকেল পর্যন্ত মিয়ানমারের কাছ থেকে কোনও কথা নেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকটি শেষ হবে কিনা সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। ইতিহাস বলে যে মিয়ানমারে সামরিক শাসনামলে ১৯৭৮ এবং ১৯৯২ সালে রোহিঙ্গা দুটি পর্যায়ে প্রত্যাবাসন করা হয়েছিল। তবে এবার কেন নয়? এটি মিয়ানমারের জন্য একটি সুযোগ। মায়ানমারের উচিৎ এটি ব্যবহার করা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে তারা মিয়ানমারের নতুন সরকারের সাথে যোগাযোগ করতে পারে না। কারণ যোগাযোগের সমস্ত উপায় বিচ্ছিন্ন।

    মন্তব্য করুন