যে কারণে ধরা খেলেন গোল্ডেন মনির।ডিবি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে
স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে জড়িত, মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনির কয়েকশ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কেবল প্রাসাদোপম বারী নয়, অনেকগুলি বেনামে ব্যবসাও আছে। প্রশাসনের অনেক অসাধু কর্মকর্তাকে তিনি ‘ম্যানেজ’ করে জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার প্লট ভাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। যাদের ম্যানেজ করতে পারতেন না তাদের অনেককে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল তার।তার একটি প্রকল্পের ফাইল দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকায় একজন সিনিয়র গণপূর্ত কর্মীকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও ছিল।তিনি অফিসারকে সরিয়ে এবং তার পছন্দের কোনও ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়ে জনগণের স্বার্থ হাসিল করার ষড়যন্ত্র করেন। মনির এই অফিসারকে অপসারণের চক্রান্তের সাথেও একটি বৃহত কনস্ট্রাকশন জড়িত ছিল। মনির এবং ফার্মের প্রকল্পের সাথে জড়িত ছিল।গোল্ডেন মনির নিজেই গণপূর্ত কর্মকর্তাকে অন্যায়ভাবে ফাঁদে ফেলতে গিয়ে ধরা পড়ে। মনির হোসেনকে এখন তিন মামলায় ১ দিনের রিমান্ডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এর আগে ২০ নভেম্বর মনিরকে তার মেরুল বাড্ডার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। মনিরকে জিজ্ঞাসাবাদকালে তিনি প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে রাজউকের বিভিন্ন কাজ ও গণপূর্তের কাজ জালিয়াতি করে নিয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন যে প্রভাবশালী সিন্ডিকেটগুলি তারাও দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত ছিলেন, যারা তার ফাইলটি সুবিধা নিয়ে পাস করিয়ে দিতেন।গোয়েন্দারা বলছেন, গোল্ডেন মনির ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে কত টাকা রয়েছে তা জানতে পুলিশ বিভিন্ন দফতরে চিঠি দিয়েছে। তবে, এখনও অবধি আনুষ্ঠানিকভাবে যা প্রকাশিত হয়েছে তা হ’ল মনির ৪ টি ব্যাংকের ২৫টির মধ্যে ৯৬০ কোটি টাকা রয়েছে। বিদেশে অর্থ পাচারও করেছেন তিনি। বর্তমানে তদন্তধীন তিনটি মামলার মধ্যে পুলিশের ফৌজদারি তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মনিরের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।জিজ্ঞাসাবাদে মনির বেশ কয়েকজন সহযোগীর নামও উল্লেখ করেছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে গুলশানের মোহাম্মদ সালেহ, শফিকুল ওরফে সোনা শফিক, রিয়াজ উদ্দিন ও ২ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর হায়দার রয়েছেন। মনির তাদের সাথে উত্তরায় জমজম টাওয়ারটি নির্মাণ করেছেন।আইন প্রয়োগকারী এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মনিরের অন্য সহযোগীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। স্বর্ণ চোরাচালানের ব্যবসায় তাঁর দীর্ঘকালীন সহযোগীদের সন্ধানের চেষ্টাও চলছে।