যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে হবে। কোনোভাবেই অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতা দখল করতে পারবে না।
বাংলাদেশ বিষয়ক যুক্তরাজ্যের অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) প্রতিনিধিদল লন্ডনের তাজ হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এলে তিনি এ কথা বলেন। সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
শেখ হাসিনা প্রতিনিধিদলকে বলেন, ‘আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব সংস্কার ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন করা হয়েছে। এতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বাধীনতা থাকবে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, তিনি বিরোধী দলে থাকাকালীন আওয়ামী লীগের প্রস্তাবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ছবির মাধ্যমে ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং স্বচ্ছ ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছিল।
প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, আগামী নির্বাচন তদারকি করতে ওই প্রতিনিধি দলে একটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ দল পাঠানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রতিনিধি দলের সকল সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘদিনের গণতন্ত্র ও স্থিতিশীল পরিবেশের কারণে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
ব্রিটেন ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে ব্রিটেনের বিনিয়োগ বাড়ছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যকে বৃহৎ পরিসরে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এ জন্য তিনি যুক্তরাজ্যকে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল দেওয়ার প্রস্তাব করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চান।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়।
মোমেন বলেন, সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাজ্যের মানবিক সহায়তার পরিমাণ কমেছে। তাই দেশটিকে মানবিক সহায়তা তহবিল বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ব্রিটিশ সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এপিপিজি চেয়ারপারসন ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে এপিপিজির ভাইস চেয়ারপারসন এমপি বীরেন্দ্র শর্মা, এমপি ভ্যালেরি ভাজ এবং এমপি ইমরান হুসেন এবং বাংলাদেশ বিষয়ক স্কটল্যান্ডের ক্রস-পার্টি গ্রুপের চেয়ারপারসন এমপি ফয়সাল চৌধুরী ছিলেন।