• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    যানজটে জনজীবন বিপর্যস্ত

    “আমি আর যানজটের কথা বলতে পছন্দ করি না। এই যানজট জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। সে আর ঢাকা শহরে থাকতে চায় না। খালি দায় থেকে চাকরির জন্য থাকতে হবে।”

    নগরজীবনে যানজট অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এই যানজট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না, বিস্ময়কর।

    এভাবেই বললেন ফয়সাল আহমেদ তার কথা। তিনি বাড্ডা এলাকায় কাজ করেন।

    চকবাজারে পরিবার নিয়ে থাকেন। সপ্তাহের প্রতিদিনই বিভিন্ন সময়ে অফিসের দায়িত্ব পালন করেন। যেমন ফয়সালের অফিস শুরু হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টায়। দুপুর ১২টায় বাসা থেকে বের হয়।

    অফিসে পৌঁছতে তার ২০ মিনিট দেরি হয়েছিল।

    কথা হলে ফয়সাল বলেন, ঢাকায় যানজটে আটকে আছি; এটা কোনো জীবন হতে পারে না। সাত ঘণ্টা অফিস। এমন দিনে অফিসে আসা-যাওয়া করতে আট ঘণ্টা লাগে। যানজট মন ও মেজাজের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলে।

    কেউ এর সমাধান চায় না।

    প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লা সংযোগ সড়ক। সব সড়কেই যানজটের একই চিত্র। গতকাল রাজধানীর গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, পল্টন, কাকরাইল, মালিবাগ, মগবাজার, রামপুরা, বাড্ডা এলাকায় গিয়ে যানজটের তীব্রতা দেখা যায়।

    ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন গেট থেকে চাঁনখারপুল হাঁটার দূরত্ব দুই মিনিটেরও কম হবে। কিন্তু হিউম্যান হোলারে (লেগুনা) এই দূরত্ব অতিক্রম করতে মোজাম্মেল হোসেনের লেগেছে ২৫ মিনিট। তিনি মূলত হিউম্যান হলার থেকে ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে নামবেন। অসন্তুষ্ট হয়ে বঙ্গবাজারে নেমে পড়েন।

    জানতে চাইলে মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘এই সড়কে বেশিরভাগ সময় যানজট থাকে। আধা ঘণ্টা গাড়িতে বসে থাকার চেয়ে পাঁচ-সাত মিনিট হাঁটা ভালো। এভাবে কতক্ষণ যানজটে বসে থাকা যায়? মানুষের সময়ের কোনো মূল্য নেই।

    শান্তিনগর ফ্লাইওভার থেকে আকাশ পরিবহনের একটি বাস নামল। ওই বাসের যাত্রী ছিলেন আবুল খায়ের। দ্রুত ফ্লাইওভার পার হয়ে গেলেও যানবাহন চলাচল করা উচিত নয়। মালিবাগ থেকে রামপুরা হয়ে বাড্ডা পৌঁছাতে তার সময় লেগেছে এক ঘণ্টা ২০ মিনিট।

    আবুল খায়ের বলেন, ‘রাস্তার রং বোঝা মুশকিল। সব কষ্ট পথে হতে পারে. একই পথে কখনো আধা ঘণ্টা, কখনো দেড় ঘণ্টা লাগে। কাচাকচি চলে গেলে হতাশ হয়ে হাঁটতে লাগলাম। সে আর বাসে বসতে চায় না।