• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    মেয়রের মায়ের নামে পার্ক।বিসিসির বিরুদ্ধে জমি অধিগ্রহণে তথ্য গোপনের অভিযোগ

    বরিশাল নগরীর ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের এক লেন দখল করে সিটি করপোরেশন (বিসিসি) পার্ক নির্মাণের কাজ ক্রমশই ঘোলাটে হচ্ছে। পার্ক নির্মাণের বিষয়ে সড়ক ও সেতুমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জমি অধিগ্রহণের তথ্য গোপন রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরাদ্দকৃত জমির মালিক সওজ হলেও বিষয়টি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়নি। তবে মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে চিঠি বিনিময়ের বিষয়টি স্বীকার করছে না বিসিসি কর্তৃপক্ষ।

    মঙ্গলবার স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত পার্কের নির্ধারিত এলাকায় শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। রোববার থেকে সীমিত সংখ্যক শ্রমিক নিয়ে কাজ চলছে।

    এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কেন সেখানে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে তা তারা জানেন না। পার্ক নির্মাণ নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও সিটি মেয়রের ক্ষোভের ভয়ে কেউই এ বিষয়ে খোঁজ নিতে আগ্রহী হচ্ছেন না।

    বরিশাল আরএইচডির উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ফিরোজ আলম খান বলেন, মহাসড়কের জন্য আরএইচডির অধিগ্রহণকৃত জমিতে বিসিসি অবৈধভাবে পার্ক নির্মাণ করছে। এটি প্রস্তাবিত ভাঙ্গা-কুয়াকাটা চার লেন সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের জমি। চিঠির বিষয়টি জানার পর বরিশাল আরএইচডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ৩১ জানুয়ারি নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে প্রধান প্রকৌশলীকে লিখিতভাবে বর্তমান পরিস্থিতি অবহিত করেন। বিষয়টি এখন মন্ত্রণালয় থেকে খতিয়ে দেখা হবে।

    কেন পার্কটি তিন দিন বন্ধ ছিল জানতে চাইলে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ ফারুক হোসেন বলেন, আমি জানি না। মন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে কিনা তাও জানি না।

    একই জবাব দেন পার্কের নির্মাণ কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল বাশার। তিনি কৌশলী পার্ক নির্মাণের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ লেকের উত্তরে মহাসড়কের পাশে একটি বন্ধ ড্রেন সংস্কার করে নতুন সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি প্রকাশিত এক সংবাদে প্রকৌশলী আবুল বাশার জানান, আরএসএ’র অনুমতি নিয়ে পার্কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।

    মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর মা প্রয়াত সাহান আরা আবদুল্লাহ পার্কের নির্মাণ কাজ ৮ জানুয়ারি শুরু হয়, বরিশাল শহরের সিএন্ডবি রোডের সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ লেকের উত্তর পাশের প্রায় ২০০ গজ জায়গা দখল করে। ঢাকা-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়কের।

    এদিকে পার্কের বিতর্কিত জমি অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগে গত ১ ফেব্রুয়ারি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন।

    মন্তব্য করুন