• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ হত্যা মামলা।তদন্ত শেষ, চার্জশিট আজকাল।

    ওসি প্রদীপের মামলায় কমপক্ষে ১৪-১৫ জন আসামি, শিপ্রা-সিফাত মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন

    তদন্তটি সর্বাধিক আলোচিত মেজর (অব.) সিনহার বিষয়ে। আজকাল  চার্জশিট দাখিল করতে পারে। ঘটনার সাড়ে চার মাস পরে তদন্ত শেষ হয়েছে। কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার তত্কালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাস, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতসহ কমপক্ষে ১৪-১৫ জন এই মামলার আসামি। চার্জশিট ৩০২ ধারার অধীনে দায়ের করা হচ্ছে। তবে সব আসামিকেই ৩০২ ধারার আওতায় নেওয়া হচ্ছে না। অপরাধ অনুসারে তাদের বিভিন্ন ধারায় অভিযুক্ত করা হচ্ছে। কিছু অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হতে পারে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দু’জনকে আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে কারণ তাদের দোষের প্রমাণ নেই।

    গতরাতে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেঃ কর্নেল আশিক বিল্লাহ  বলেন যে সিনহার মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে এবং অভিযোগপত্র প্রস্তুত রয়েছে। অভিযোগপত্র যে কোনও সময় আদালতে জমা দেওয়া হবে। এ ছাড়া শিপ্রা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রমাণ  মেলেনি। গত বৃহস্পতিবার তাদের মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।

    সিনহার বড় বোন ও মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস গতকাল  বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করে আসছি।” আশা করি, অভিযোগপত্র দাখিলের পরে বিচারিক প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে যাবে। আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। যাতে এটি সবার নজরে আসে।

    এছাড়া সিনহার সহযোগী শিপ্রা দেবনাথ এবং শাহেদুল ইসলাম সিফাতের বিরুদ্ধে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা অভিযোগ থেকে সম্পূর্ণ খালাস পেয়েছে।

    ৩১ জুলাই টেকনাফের মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে সিনহা রাশেদকে হত্যা করা হয়েছিল। এ সময় শাহেদুল ইসলাম সিফাত তার সাথে ছিলেন। হত্যার পরে সিংহরা যে রিসর্টে ছিলেন, সেখানে পুলিশ তল্লাশি করেছে। সিনহার সহযোগী শিপ্রা দেবনাথকে মদ ও গাঁজা রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে অভিযোগ আনা হয়েছিল। পুলিশ সিফাতের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। আরেক শিপ্রার সহযোগী তাহসিন রিফাত নূরকে রিসর্ট থেকে আটক করা হয়েছিল। নূরকে মুক্তি দেওয়ার পরে পুলিশ শিপ্রা ও সিফাতকে কারাগারে প্রেরণ করে। পরে তাদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।

    এদিকে, তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস সিনহার বিরুদ্ধে টেকনাফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। এ মামলায় টেকনাফ পরিদর্শক বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতসহ মোট নয় জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। বিচারক তামান্না ফারাহ এই মামলার বিষয়টি গ্রহণ করেন এবং অভিযোগটি প্রমাণ হিসাবে গ্রহণ করার জন্য টেকনাফ থানাকে নির্দেশ দেন। মামলার তদন্তেরভার র‌্যাবকে দেওয়া হয়েছিল।

    মন্তব্য করুন