• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    মৃত্যু বাড়ছে, ভয়ও বাড়ছে

    একসাথে একই পরিবারের অনেক সদস্য আক্রান্ত হচ্ছে ও শহরে মাস্ক পরা হলেও গ্রামে কোনও বালাই নেই

    করোনায় ভাইরাস সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। মৃত্যুও বাড়ছে। এই ক্রমবর্ধমান হার মানুষের মনে ভয় বাড়িয়ে তুলছে। শীতের পোশাক পরে লোকেরা বাইরে থেকে বাড়ি ফিরছে, আবার ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রয়েছে। একই পরিবারের অনেক সদস্য এখন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও বাড়বে না। তবে আগের তুলনায় তা বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম এড়ানো এবং সবার স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার পরামর্শ দেয়।করোনার ভাইরাস সম্পর্কিত জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম বলেছেন, আইসিইউ সহ সকল প্রকারের শয্যা প্রস্তুত রাখতে হবে। করোনার রোগীদের চিকিৎসা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইসিইউ প্রস্তুত রাখার নির্দেশও দিয়েছেন। কারণ বেশিরভাগ জেলায় আইসিইউ নেই। করোনার বাড়ার সময়, সারা দেশ থেকে লোকেরা ঢাকায় আসবে। তখন আইসিইউয়ের অভাবে অনেক রোগীর মৃত্যু হতে পারে।”করোনার ক্রমবর্ধমান হয়, কখনও কখনও হ্রাস হয়,” তিনি বলেছেন। তবে হঠাৎ এটি বাড়তে পারে। সুতরাং প্রত্যেকের স্বাস্থ্যবিধি নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং নিজের এবং তাদের পরিবারকে রক্ষা করা উচিত।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ড.এবিএম আবদুল্লাহ বলেছেন ভ্যাকসিন কবে আসবে-সেটার জন্য বসে না থেকে সবারই মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। এক্ষেত্রে কড়া নজরদারি করতে হবে। শীতকালে করোনার ভাইরাস বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানান তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন বলেছেন, শীতের সূত্রপাতের সাথে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে এবং আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলছেন যে শীতের পোশাক পরে লোকেরা বাইরে থেকে বাড়িতে চলে যাচ্ছে, আবার শীতের কারণে ঘরের দরজা ও জানালা বন্ধ রাখা হচ্ছে। এ কারণে পরিবারভিত্তিক সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। ডাঃ আ স ম আলমগীর বলেছেন, অক্সফোর্ড থেকে ৩০ মিলিয়ন ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। এবং গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস (জিএভিআই) এর মাধ্যমে, দেশের ২০ শতাংশ লোককে টিকা দেওয়া যেতে পারে। এতে কম খরচ হবে। তিনি গ্রামে চায়ের স্টল বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। ঘর থেকে বেরোনোর ​​সময় আপনাকে মাস্ক পরতেই হবে।

    মন্তব্য করুন