মিয়ানমারের সেনাবাহিনীসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
মিয়ানমারের সংঘাত থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বিআইডব্লিউটিএর নুনিয়ারছড়া জেটি ঘাট দিয়ে একটি জাহাজে করে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং মিয়ানমারের বিজিপি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৮৮ জনের মধ্যে ২৬১ জন মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্য। বাকিদের মধ্যে রয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও অভিবাসন কর্মকর্তারা। গত ৩ মার্চ থেকে কয়েক দফায় মিয়ানমারের এসব নাগরিক বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
এর আগে মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা দ্রুত বিজিপি এবং মিয়ানমারের অন্যান্য সদস্যদের চিহ্নিত করে যারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পন্ন করেছে। সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে জাহাজে করে আগত বিজিপি সদস্যদের কাছে আশ্রয়প্রার্থীদের হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ জানায়, মিয়ানমারের নৌবাহিনীর জাহাজে করে গতকাল বিকেলে দেশটির একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল কক্সবাজারে পৌঁছায়। মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলকে সড়কপথে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে বিজিবি ব্যাটালিয়নে অবস্থিত একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ওই স্কুলে ছিলেন।
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি, সংঘর্ষের মধ্যে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া আরও ৩৩০ জনকে একটি জাহাজে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
২ ফেব্রুয়ারি থেকে আরাকান আর্মি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে।