মিয়ানমারের পরিস্থিতি। যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের রাষ্ট্রদূতের সাথে পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠক
সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে পররাষ্ট্র সচিব মাসউদ বিন মোমেন মার্কিন ও চীনা রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠক করেছেন। মঙ্গলবার বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার তিনি চীনের সাথে কথা বলেছেন।
চীন, পশ্চিমা বিশ্ব এবং এশিয়ার একটি প্রধান শক্তি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পরে এই বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে আগ্রহী। এছাড়া কিছু ইউরোপীয় দেশও বাংলাদেশের অবস্থান বুঝতে চায়। পররাষ্ট্র সচিব এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এদিকে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে নির্ধারিত বৈঠক সম্পর্কে জানতে চাইলে মাসউদ বিন মোমেন বলেন যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য চীনের সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন যে বাংলাদেশ ও চীন ৪ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সাথে বৈঠক করতে রাজি রয়েছে। পরিস্থিতি পরিবর্তনের কারণে তা সেদিন বা অন্য কোনও দিনে হবে কিনা, আমরা তার জন্য অপেক্ষা করছি।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার কড়া বক্তব্য জারি করেছেন। বিবৃতি দেওয়ার আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার সোমবার পররাষ্ট্র সচিব মোমেনের সাথে সাক্ষাত করেছেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন “আমরা তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কী অবস্থান নেবে তা তারা জানতে চেয়েছিল।
মিয়ানমারে অবরোধ চাপানোর বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা যুক্তরাষ্ট্রের বিষয় এবং বাংলাদেশ কিছুই বলেনি।
অন্যদিকে, অন্তত দুটি ইউরোপীয় দেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছে। তারা জানতে চায় রোহিঙ্গা ঢলআবার শুরু হলে বাংলাদেশ কী করবে।