মাহমুদউল্লাহর ৩৯ রানে ৪১ ডট!
বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে যাওয়ায় তার ওভার রক্ষণাত্মক ইনিংস চাপা পড়ে যেতে পারে। তবে পাঁচ নম্বরে থাকা মাহমুদউল্লাহর ৬৯ বলে ৩৯ রানের ইনিংস নিয়ে প্রশ্ন থাকবে। যেখানে তিনি ৪১ বলে ‘ডট’ খেলেন।
পরে আফিফ হোসেন ৮১ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলে দলের স্কোর ২৫০-এ নিয়ে যান। দুটি ছক্কাও ছিল আফিফের ব্যাটে। দুই রানে আফিফ জীবন না পেলে বিপদে পড়ত দল।
তিনি যখন আউট হন, তখন দলের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ৪৭। নাজমুল হাসান শান্ত এবং মুশফিকুর রহিম পরপর আউট হয়ে যাওয়ায় কিছুটা স্থির হয়ে যায়। তাই বলে ২৩ বলে ৫ রান! জিম্বাবুয়ের বোলাররা তাই আতঙ্ক তৈরি করেছিল।
শান্ত ও মুশফিক দুজনেই অফস্টাম্পের বাইরে আপারকাট বল ভালোভাবে ধরেছিলেন। টার্ন বা সুইং-ইভান্স ও কিংসের বোলিংয়ে তেমন কোনো অস্ত্র ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশি ব্যাটাররা প্রথম ৯০ বলে ৬৫ ডট খেলেন। আগের দুই ম্যাচে সিকান্দার রাজার জিম্বাবুয়ে প্রায় তিনশ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতেছিল।
এদিন এমন ধীরগতির ব্যাটিং নিয়ে উদ্বেগ ছিল। মাহমুদউল্লাহর আগে ও পরে বিজয় ও আফিফের স্ট্রাইক রেট যেখানে ১০৭ ও ১০৪; সেখানে রিয়াদের স্ট্রাইক রেট ছিল ৫৬। শুধু এই ম্যাচেই নয়, আগের ম্যাচেও যখন ৮৪ বলে ৮০ রানে অপরাজিত ছিলেন, সেদিন শুরুর ৩০ বলে ছিল ১২ রান। ৫০ বলে ২৭ রান। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে জিম্বাবুয়ের মতো সহজ বোলিংয়ের সামনেও রিয়াদের ধীরগতির ব্যাটিং লক্ষ্য করা উচিত।