মাস্ক পরাসহ পাশাপাশি দ্রুত বুস্টার ডোজ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ
স্বাস্থ্য বিভাগ সবাইকে মাস্ক পরার এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করোনার বুস্টার ডোজ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
রোববার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত এক ভার্চুয়াল বৈঠকে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, বিমানবন্দর থেকে শুরু করে সব বন্দরে স্ক্রিনিংয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সব বন্দরে দ্রুত অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। যেসব দেশে করোনা সংক্রমণ বেশি সেসব দেশ থেকে আসা যাত্রীদের সন্দেহ হলে পরীক্ষা করা হবে।
ডাঃ আহেমদুল কবির বলেন, দেশে এখনও করোনা রোগীর সংখ্যা সাত থেকে আটজনের মধ্যে থাকলেও আইইডিসিআরকে জিমন সিকোয়েন্স চালু রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারণ দেশে নতুন ধরনের করোনা দ্রুত শনাক্ত করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে, ডিএনসিসি হাসপাতালকে আরও সুসজ্জিত ও প্রস্তুত করা হয়েছে। যাতে আরও রোগী ভর্তি করা যায় এবং সেবা নিশ্চিত করা যায়। করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়লেও দেশের সব হাসপাতালকে আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে কোনো চিকিৎসা সংকট না হয়।
এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরও জানান, নতুন এই ধরনের লক্ষণ এবং এর চিকিৎসায় করণীয় নির্ধারণে দু-একদিনের মধ্যে কারিগরি কমিটির বৈঠক হবে।
চীনে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) অধ্যাপক আহমদুল কবির বলেন, সারা বিশ্বে করোনা সংক্রমণ অনেক বেড়েছে। শুধু ডিসেম্বরেই চীনে প্রায় ২৫ কোটি মানুষ সংক্রমিত হয়েছে। চীনে যে বৈকল্পিকটি এসেছে তা হল BF7, যা BA5-এর একটি উপ-ভেরিয়েন্ট। একে R-১৮ বলা হয়। আগের ভেরিয়েন্টটি ছিল R-৪, মানে এটি ১ থেকে ৪ জনকে আক্রমণ করতে পারে। R-১৮ -১ থেকে ১৮ জনকে সংক্রামিত করতে পারে। নতুন সংস্করণে ৪ গুণ বেশি সংক্রামকতা রয়েছে।
জাতীয় টিকাদান কমিটির সদস্য সচিব ডাঃ মোঃ শামসুল হক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা সব স্কুলে টিকা দিয়েছি। এটা পুরো ঢাকা জুড়ে। আমরা দুটি কেন্দ্র নির্ধারণ করেছি যাতে কেউ বিভ্রান্ত না হয়। যখন দ্বিতীয় ডোজ স্কুলে দেওয়া হয়, বাদ পড়া শিক্ষার্থী উপস্থিত হলে প্রথম ডোজটি দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, শিগগিরই দ্বিতীয় ডোজ টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। স্কুল ছুটির কারণে আমরা শুরু করিনি। হয়তো ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। তবেই শিক্ষার্থীরা টিকা দেওয়ার প্রথম ডোজ নিতে পারবে।
সম্প্রতি চীনে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরপরই প্রতিবেশী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি দেশবাসীকে মাস্ক পরার আহ্বান জানান এবং ভাইরাসের জিন বিশ্লেষণের কথাও বলেন।