• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    রাজধানীর উপকণ্ঠে নতুন শহর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি) মাসব্যাপী ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা’ (ডিআইটিএফ)-২০২২ উদ্বোধন করেছেন। শনিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাণিজ্য মেলার ২৬তম আসরের উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে রপ্তানি নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রপ্তানিকে উৎসাহিত করতে ‘আইসিটি পণ্য ও সেবা’কে ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার ২০২২’ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের রপ্তানি পণ্যের প্রচার ও বাজার বৈচিত্র্যের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং অন্যান্য সহযোগী সংস্থা এই মেলার আয়োজন করছে। দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হচ্ছে ১৯৯৫ সাল থেকে। এই প্রথম স্থায়ী কমপ্লেক্সে মেলা হচ্ছে। আগে আগারগাঁওয়ে বাণিজ্য মেলা হতো। এর আগে শুক্রবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২২ উপলক্ষে এক্সিবিশন সেন্টারে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত বছর মেলা করা সম্ভব হয়নি। . তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে সামনে রেখে এ বছর মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পূর্বাচল নিউ টাউনে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে মাসব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রদর্শনী কেন্দ্রের ১৪,৩৬৬ বর্গমিটার আয়তনের দুটি হলে অত্যাধুনিক সুবিধাসহ সবকটি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলা কমপ্লেক্সের বাইরে (সামনে ও পেছনে) প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও খাবারের স্টল নির্মাণ করা হয়েছে। মেলার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন। মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল এবং ১৫টি বিভিন্ন ক্যাটাগরির খাবারের স্টল দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থাকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় প্রদর্শিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে হোম টেক্সটাইল, মেশিনারিজ, কার্পেট, প্রসাধনী ও সৌন্দর্য উপকরণ, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক্স, আসবাবপত্র, পাট ও পাটজাত পণ্য, ঘরের আসবাবপত্র, চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, খেলাধুলার সামগ্রী, খেলাধুলার সামগ্রী, স্যানিটারি ওয়্যার প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, ভেষজ ও প্রসাধন সামগ্রী, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাবার, হস্তশিল্প পণ্য, গৃহসজ্জা ইত্যাদি। প্রতিদিন মেলা শুরু হবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাত ১০টা পর্যন্ত)। মেলায় প্রবেশ মূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং শিশুদের জন্য ২০ টাকা। মেলায় দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে প্রতিদিন ৩০টি বিআরটিসি বাস ও অন্যান্য যাত্রীবাহী বাস চলাচল করবে। ভাড়া জনপ্রতি ৪০ টাকা। কাঞ্চন ব্রিজে নামতে হবে। সেখান থেকে ১০ টাকায় রিকশা ভাড়া করে মেলার মাঠে যেতে পারবে।

    মন্তব্য করুন