• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    মালিকপক্ষের সাথে জলদস্যুদের প্রথম যোগাযোগ

    মুক্তিপণ নিয়ে কোনো কথা হয়নি, আগে নিশ্চিত হতে হবে প্রতারক চক্র  আসল কি না।

    ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে বন্দী হওয়ার ৯ দিন পর জলদস্যুরা জাহাজ মালিকের সঙ্গে পরোক্ষ যোগাযোগ করেছে। গতকাল তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সোমালি দস্যুদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়। তবে মুক্তিপণ নিয়ে কোনো কথা হয়নি বলে জানান জাহাজ মালিক।

    এই যোগাযোগ পুরো প্রক্রিয়ার খুব প্রাথমিক পর্যায় বলে মন্তব্য করে বিশেষজ্ঞ সূত্র জানায়, ডাকাতদের প্রথমে নিশ্চিত করতে হবে যে তৃতীয় পক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে তিনিই ‘আসল ব্যক্তি’। অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, সোমালিয়া জলদস্যুরা জাহাজ দখলের পর বিভিন্ন ধরনের প্রতারক সক্রিয় হয়ে ওঠে। এমভি আবদুল্লাহর ক্ষেত্রে প্রথম অংশে নিশ্চিত করতে হবে যে এটি কোনো ধরনের প্রতারক চক্রের খপ্পরে না পড়ে।

    এই ক্ষেত্রে, যোগাযোগের সূচনাকারী তৃতীয় পক্ষকে জাহাজের নাবিকদের ভিডিও বা বিবৃতি সহ মালিক, বীমা কোম্পানি বা P&I ক্লাবের প্রতিনিধির কাছে সঠিকভাবে বিভিন্ন ডেটা নিশ্চিত করতে হবে। এরপর টাকার অঙ্ক নিয়ে মূল আলোচনা শুরু হবে। সূত্র আরও জানায়, বিষয়টি কিছুটা সময়সাপেক্ষ। এদিকে চট্টগ্রামে অবস্থানরত ক্যাপ্টেন আতিক জাহাজের নাবিকদের বরাত দিয়ে জানান, জাহাজটি আগের অবস্থানে রয়েছে। সব নাবিককে সেতুতে নিয়ে আসা হয়। স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহারে দস্যুরা দমন-পীড়ন শুরু করেছে।

    জলদস্যুদের ফোনের বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, আজ (গতকাল) দুপুরে জলদস্যুদের ফোন আসে। কিন্তু তারা এখনও কিছু দাবি করেনি। নাবিকদের সম্পর্কে এবং সাধারণভাবে জাহাজ সম্পর্কে কথা বলেছেন। মাত্র তাদের সাথে যোগাযোগ শুরু হয়েছে। এখন আলোচনার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। আমরা আশা করি একটি সমাধান পাওয়া যাবে। দস্যুরা বলল নাবিকরা সবাই ভালো আছে। তাদের ওপর কোনো নির্যাতন হবে না। শীঘ্রই তারা আবার যোগাযোগ করবে। তিনি বলেন, অক্ষত অবস্থায় নাবিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাব।

    নাবিকদের স্বজনদের মধ্যে আশার আলো: সোমালিয়া জলদস্যুরা বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর মালিকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের পর, জিম্মি হওয়া নাবিকদের স্বজনরা নাবিকদের দ্রুত মুক্তির আশা করছেন।

    আবদুল্লাহর প্রধান কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ খানের শ্বশুর মোহাম্মদ ফরহাদ বলেন, এটা ভালো খবর, জিম্মি নাবিকদের পরিবারের জন্য স্বস্তি। জলদস্যুরা যোগাযোগ করে এবং নাবিকদের মুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হলো।