মানি লন্ডারিং কেলেঙ্কারিতে তানভীর-জেসমিনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মানি লন্ডারিং কেলেঙ্কারিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী ও গ্রুপ চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক ড. আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক ড. আবুল কাশেম রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। কিন্তু ওই দিন দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ সালাম মামলার রায় থেকে প্রত্যাহার করে দুই ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদন করেন। আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এরপর আদালত মামলার শুনানির জন্য ৪ মার্চ দিন ধার্য করেন। গত ৪ মার্চ ঢাকার দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান ও কেশব রায় চৌধুরী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এদিন তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ১২ মার্চ দিন ধার্য ছিল। গত ১২ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ (১৯ মার্চ) রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলার সূত্র জানায়, নথিপত্রে দেখা যায়, সুতা রপ্তানির নামে ৫২৫ কোটি ৬২ লাখ ৯২ হাজার ৮০০ টাকার সুতা রপ্তানি হয় ভুয়া ম্যাক্স স্পিনিং মিলস। এই হিসাবে, পুরো টাকা জমা দেওয়ার সময়, হলমার্কের অন্য জাল কোম্পানি অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজে ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়েছিল, যা পরে তানভীর এবং তার স্ত্রী তুলে নিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে, জালিয়াতি, আত্মসাৎ, যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে মামলা করে দুদক।
তানভীর-জেসমিন ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তানভীরের ভাই ও গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার তুষার আহমেদ, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিজা, প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, নকশি নিটের এমডি মো. আব্দুল মালেক ও সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার, সোনালী ব্যাংক হোটেল শেরাটন (বর্তমানে রূপসী বাংলা) শাখার সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মতিন এবং সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মেহেরুন্নেসা মেরী, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম ননী গোপাল নাথ ও মীর মহিদুর রহমান জিএম অফিস, প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, ডিএমডি মাইনুল হক, উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) ) শেখ আলতাফ হোসেন ও সফিজউদ্দিন এবং এজিএম। কামরুল হোসেন খান।