• বাংলা
  • English
  • খেলা

    ‘মাঠে খেলা দেখা চুক্তিতে নেই’

    হঠাৎ জ্যামিডের প্রতি কোঠর  বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। বৃহস্পতিবার কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের পরে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন কথায় সরাসরি বলে দিলেন, “আমি চাই মাঠে গিয়ে জেমি খেলা দেখুক।” তিন বছর জাতীয় দলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জেমি তার খেলা না থাকলে বেশিরভাগ সময়ই ছুটি কাটান। এটি নিয়ে অনেক কথা হয়েছিল। সালাউদ্দিনের বক্তব্যের পরে ব্রিটিশ কোচের উপর চাপও বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে ইংল্যান্ডে থাকা জেমি ডে একেবারেই মাথা ঘামাচে।চন না বরং, আমি মাঠে গিয়ে খেলা দেখার জন্য বাফুফের চুক্তিতে লেখা নেই।

    এ প্রসঙ্গে গতকাল বাংলাদেশের কোচ বলেন, ‘ বাফুফের সাথে আমার চুক্তি বলছে না যে এটি খেলা দেখার জন্য মাঠে লেখা হয়েছিল। তবে আমি একজন কোচ। এবং দলবাছাই করতে আমাকে খেলা দেখতে হবে। তাই বেশিরভাগ ম্যাচ দেখার চেষ্টা করব। আমি জানুয়ারিতে বাংলাদেশে আসব। আমি প্রিমিয়ার লিগের খেলাও দেখব। এখন আমি এখানে বসে টিভিতে খেলা দেখছি। ‘১৩ ই নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রথম বন্ধুত্বপূর্ণ ফুটবল ম্যাচের পরে জেমি ডে করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপরে দ্বিতীয় ম্যাচে ডাগ আউটে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ কোচ। কবিড ইতিবাচক পরীক্ষা করে  ৪ ডিসেম্বর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কাতারে যান। সেখান থেকে তিনি ঢাকায় না এসে ইংল্যান্ডে যান। সেই সময়ই গুজব ছড়িয়েছিল যে বাফুফ তাকে বরখাস্ত করতে চলেছে। তবে গুজবগুলি পরে জাতীয় টিম কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফের সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ এমপি  নিশ্চিত করেছেন। সেই সময় কাজী নাবিল আরও বলেন যে জেমি কতদিন ঢাকায় থাকবেন এবং তিনি কতদিন তার ছুটি কাটাবেন তা চুক্তিতে রয়েছে। শুক্রবার জেমি বলেন, “আমি এবং বাফুফে উভয়ই চুক্তি সম্পর্কে সচেতন। আমি কতদিন বাংলাদেশে থাকব, আর কতদিন ছুটিতে থাকব, চুক্তিতে লেখা আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক কিছু করি। আসলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাথে আমার সম্পর্ক একটি পরিবারের মতো। এখানে কোন সমস্যা না আনাই ভাল। এবং আমি গত লিগের ৩৪ টি রাউন্ডের মধ্যে ২৯টি দেখেছি। আমি খেলা নব্বই অংশ মত দেখেছি। তবে আমি আপনাকে একটি বিষয় পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আপনি মাঠে রয়েছেন বা না থাকুন তা বিবেচ্য নয়। খেলা দেখতে পারাটাই বড় বিষয়।

    মন্তব্য করুন