আন্তর্জাতিক

মাঝ আকাশে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে আগুন, জরুরি অবতরণ

এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান আবারও সমস্যায় পড়েছে। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই ফ্লাইটের একটি ইঞ্জিনে আগুন ধরা পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে ককপিট থেকে ইঞ্জিন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে, রবিবার (৩১ আগস্ট) সকালে দিল্লি থেকে ইন্দোরগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে মাঝ আকাশে আতঙ্ক দেখা দেয়। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই, ফ্লাইট AI 2913-এর ককপিট ক্রুরা ডান ইঞ্জিনে আগুন দেখতে পান। পাইলটরা তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করে ইঞ্জিন বন্ধ করে দেন এবং বিমানটিকে দিল্লিতে ফিরিয়ে আনা হয়। এক বিবৃতিতে, এয়ার ইন্ডিয়ার একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘৩১ আগস্ট দিল্লি থেকে ইন্দোরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া ফ্লাইট AI 2913, মাঝ আকাশে ডান ইঞ্জিনে আগুনের সংকেত পাওয়ার পর জরুরি ভিত্তিতে দিল্লিতে ফিরে আসে। বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করেছে এবং সমস্ত যাত্রী নিরাপদে আছেন।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, বিমানটি পরিদর্শনের জন্য গ্রাউন্ডেড করা হয়েছে। যাত্রীদের বিকল্প ফ্লাইটে ইন্দোরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। যাত্রীদের অসুবিধার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। যাত্রী এবং ক্রুদের নিরাপত্তা এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের ইঞ্জিনে আগুন লাগার ঘটনাটি অল্প সময়ের জন্য বড় দুর্ঘটনায় পরিণত হয়নি। যদিও বিমানে দুটি ইঞ্জিন থাকার কারণে ডান ইঞ্জিনে আগুন লেগেছিল, বাম ইঞ্জিনটি সঠিকভাবে কাজ করছিল। এই কারণেই বিমানটি কিছুক্ষণের জন্য মাঝ আকাশে উড়তে সক্ষম হয়েছিল। পরে পাইলট দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিমানটিকে দিল্লিতে ফিরিয়ে আনেন। ১২ জুন, আহমেদাবাদ থেকে লন্ডন-গ্যাটউইকগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই বিধ্বস্ত হয়। এতে যাত্রী, পাইলট এবং বিমান পরিচারিকাসহ মোট ২৬০ জন নিহত হন। তারপর থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার পরিসেবার নিরাপত্তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে।