মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পেতে যা করবেন
মাইগ্রেন একটি বিশেষ ধরনের মাথাব্যথা। এই ব্যথা মাথার যে কোনো দিক থেকে শুরু হয়। ধীরে ধীরে তা বিস্তৃত হতে থাকে। মাথাব্যথা শুরু হলে মস্তিষ্কের বাইরের দিকের ধমনীগুলি স্ফীত হয়ে ফুলে যায়।
মাইগ্রেনের কারণ এখনও অজানা। গবেষকরা তা বের করতে পারেননি। কিন্তু এটি বংশগত বা অজানা কারণেও হতে পারে। এটি সাধারণত পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। নারী ও পুরুষের অনুপাত ১:৫। নারীদের পিরিয়ডের সময় এই রোগ বেশি হয়। অতিরিক্ত চকলেট, পনির, কফি ইত্যাদি খাওয়া বা পান করা, জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ সেবন, দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত ভ্রমণ, ব্যায়াম, অনিদ্রা, দীর্ঘক্ষণ টিভি দেখা, দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করা, মোবাইল ফোনে কথা বলা ইত্যাদি। এই রোগ হতে পারে। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য, দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ এই রোগকে ত্বরান্বিত করে।
মাইগ্রেনের সাধারণ লক্ষণ: মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব এই রোগের প্রধান লক্ষণ। যাইহোক, মাথাব্যথা শুরু হওয়ার আগে অত্যধিক হাঁচি, ঘনত্ব হ্রাস, বিরক্তি ইত্যাদি লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে। এই ব্যথা মাথার যেকোনো অংশ থেকে শুরু হয়। পরে তা পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে। চোখের পিছনে ব্যথার অনুভূতি হতে পারে।
মাইগ্রেনের চিকিৎসায় তাৎক্ষণিক ও প্রতিরোধমূলক ওষুধের পাশাপাশি কিছু নিয়ম মেনে এই সমস্যা অনেকাংশে কমানো যায়। যা করতে হবে তা হল প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো এবং তা হতে হবে পরিমিত। অতিরিক্ত বা কম আলোতে কাজ করবেন না। তীব্র রোদ বা তীব্র ঠান্ডা এড়িয়ে চলুন। উচ্চস্বরে এবং কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে দীর্ঘায়িত এক্সপোজার এড়িয়ে চলুন। কম্পিউটার মনিটর ও টিভির সামনে বেশিক্ষণ থাকবেন না। মাইগ্রেন শুরু হলে পানি পান করুন (বিশেষ করে বমি হলে), বিশ্রাম নিন এবং মাথায় ঠাণ্ডা কাপড় জড়িয়ে রাখুন।
এড়িয়ে চলুন: চা, কফি এবং কোমল পানীয়, চকলেট, আইসক্রিম, দই, দুধ, মাখন, টমেটো এবং সাইট্রাস ফল। রুটি, পাস্তা, পাউরুটি ইত্যাদি আপেল, কলা এবং চিনাবাদাম, অতিরিক্ত পেঁয়াজ। যাইহোক, বিভিন্ন খাবার ব্যক্তিদের জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে। একটি ডায়েরি রাখা ভাল, তাই আপনি নোট করতে পারেন যে কোন খাবার এবং পরিবেশগত ঘটনাগুলি ব্যথাকে আরও খারাপ বা খারাপ করে তোলে। এভাবে এক সপ্তাহ নোট করে রাখলে নিজেই সমাধান পাবেন। তবে ব্যথা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।