জাতীয়

মাংসজাত পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা পাবে

বিশ্ববাজারে হালাল মাংস রপ্তানিকে উৎসাহিত করতে সরকার এতদিন ২০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দিয়ে আসছে। এবার প্রক্রিয়াজাত মাংস রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে নগদ সহায়তার তালিকায় মাংসের পণ্য যুক্ত করা হচ্ছে। এ খাতে রপ্তানির বিপরীতে ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা। চলতি সপ্তাহে এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মাংস প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশে রপ্তানি করে। এই কোম্পানিগুলি প্রক্রিয়াজাত মাংস, পরিবর্তিত মাংস, কিমা, নাগেটস, বল, রোল, স্মোকড এবং লবণযুক্ত মাংস ইত্যাদি রপ্তানি করে। এই জাতীয় পণ্যগুলি মূলত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ, মালয়েশিয়া, হংকং এবং মালদ্বীপে রপ্তানি করা হয়। বিশ্ববাজারে এ ধরনের পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। এ কারণে এ ধরনের পণ্য রপ্তানিকে উৎসাহিত করতে প্রণোদনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বর্তমানে সরকার ৪২টি খাতে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানির বিপরীতে ১ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ সহায়তা দিচ্ছে। গত অর্থবছর ২০২১-২২-এ চা, দেশীয়ভাবে তৈরি সাইকেল এবং তাদের যন্ত্রাংশ, দেশীয়ভাবে তৈরি এমএস স্টিল পণ্য এবং দেশীয়ভাবে তৈরি সিমেন্ট শীট রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তার আওতায় ছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সরকার গত ২০২১-২২ অর্থবছরে অডিট খরচসহ ৮ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকা নগদ সহায়তা দিয়েছে। যা আগের অর্থবছরে ছিল ৬ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা। প্রতি বছর নগদ সহায়তা দাবির অডিট করতে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। এক বছরের ব্যবধানে সরকার রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা বাবদ দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত অর্থবছরে চারটি নতুন খাত যুক্ত হয়েছে। অন্যদিকে, ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আয় তৈরির প্রক্রিয়া সহজ করার ফলে আইটি সেক্টরে উচ্চ রপ্তানি আয় হয়েছে এবং সেখানে নগদ সহায়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ইপিজেডের সব ধরনের পণ্য নগদ সহায়তা পাচ্ছে। অন্যদিকে, গত অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। তৈরি পোশাক খাতের বিভিন্ন সাব-সেক্টরে নগদ সহায়তাও পাওয়া যায়। পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির ফলে মোট নগদ সহায়তার চাহিদা বৃদ্ধি পায়। ফলে সার্বিকভাবে নগদ সহায়তা বেড়েছে।

মন্তব্য করুন