খেলা

মরিনহো ‘পাগল’ নন, তথ্যচিত্র দেখে জানবেন সবাই

মরিনহো কীভাবে কাজ করেন, ভাবেন—এমন অনেক কিছুই নাকি দেখা যাবে তথ্যচিত্রে।

মরিনহো কীভাবে কাজ করেন, ভাবেন—এমন অনেক কিছুই নাকি দেখা যাবে তথ্যচিত্রে। ছবি: রয়টার্স

হোসে মরিনহো কেমন? কোচ হিসেবে দারুণ কৌশলী, প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সবচেয়ে ভয়ংকর।  যে আবেগ নিয়ে ডাগ আউটে দাঁড়ান কিংবা সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন, তার তুলনাও পাওয়া খুব কঠিন। সব মিলিয়ে মরিনহো ফুটবল দুনিয়ায় বিশেষ এক প্যাকেজ। কৌশল, আবেগ ও কিছুটা পাগলামি মিলিয়েই তো মরিনহো। কিন্তু সত্যিকারের মরিনহোর দেখা কি আসলেই মেলে এভাবে? এবার সম্ভবত সেটাও মিলবে।

আগামীকাল আমাজন প্রাইমে মুক্তি পাচ্ছে টটেনহাম হটস্পার ও মরিনহোকে নিয়ে সৃষ্ট তথ্যচিত্র ‘অল অর নাথিং’, যে তথ্যচিত্রে নিজের সর্বস্বই দিয়েছেন মরিনহো। মরিসিও পচেত্তিনো চলে যাওয়ার পর টটেনহামের দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম নয় মাসে মরিনহো কী করেছেন, কীভাবে করেছেন এবং কেনই-বা করেছেন, তার উত্তর মিলবে এই তথ্যচিত্রে। আর মরিনহো জানিয়ে দিয়েছেন তথ্যচিত্রে এক বিন্দু মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হয়নি। তাই এটা দেখলে মানুষ অবশেষে বুঝবে, তিনি ‘পাগল’ নন।বিজ্ঞাপন

এর মাঝেই তথ্যচিত্রের কিছু অংশ বের হয়েছে টিজার হিসেবে। সেগুলোতে মরিনহোর চিরপরিচিত রূপ দেখা গেছে। খেলোয়াড়দের গালাগালি করছেন, বেশি ভদ্র বলে! তবে মরিনহোর দাবি পুরো তথ্যচিত্র দেখলে এতটা বাড়াবাড়ি মনে হবে না সেগুলো, ‘মানুষ যদি শুধু খণ্ড খণ্ড দৃশ্যগুলো দেখে, ভাববে আমি পাগল। আমি ঠিক জানি না, তবে মনে হচ্ছে তারা আসল হোসেকেও দেখবে (পুরোটা দেখলে)। আমি আগেই বলেছি এখানে কিছুই ভুয়া নয়। অনেক মানুষই আছে যারা আমার সম্পর্কে একটা ধারণা নিয়ে বসে আছে, এখন তারা নিশ্চিত হতে পারবে সেটা ঠিক কিনা।’বিজ্ঞাপন

মরিনহোর দাবি এরপরও যদি কারও ভুল ধারণা থাকে, তাহলে তাঁর কিছু করার নেই, ‘আমি জানি না, ওরা আমাকে এবারও ভুল বুঝবে কিনা এবং ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখবে কি না। আমি শুধু এটা জানি, আমি কে এবং দেখবে আমি একজন ফুটবল কোচ, প্রতিদিনই তাই।

তথ্যচিত্রের অংশ হওয়া সহজ কাজ নয়। বিশেষ করে এমন এক তথ্যচিত্রের, যেটা তার প্রতিদিনের কাজ অনুসরণ করছে। এ নিয়ে যে তাঁর মধ্যে অস্বস্তি ছিল সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন পর্তুগিজ কোচ, ‘মাঝে মাঝে আমার অদ্ভুত লাগত। কোনো মিটিং শেষে কিংবা কোনো ঘটনার পর কিংবা শব্দ উচ্চারণ করার পর মনে হতো, “এটা আমার একদম নিজস্ব একটা ব্যাপার। আমি চাই না মানুষ এটা দেখুক, বুঝুক। আমি চাই না মানুষ আমার কাজ এতটা গভীরভাবে অনুভব করুক।” কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে শিখেছি। ড্রেসিং রুম অনেকটা উপাসনালয়ের মতো। আমরা আগে বলতাম এখানে যা হচ্ছে তা এখানেই থাকবে। তাহলে একটু চিন্তা করুন মানুষ মাঝ বিরতিতে কী বলছে সেটাও দেখতে পাচ্ছে, ভালো, খারাপ এবং পাগলাটে সব মুহূর্তও। আমরা মানুষকে সুযোগ দিচ্ছি যা সাধারণত দেখার সুযোগ হয় না সেটা দেখার। আমি নিশ্চিত করতে পারি কারণ আমি জানি এখানে যা দেখাবে সবই বাস্তব। কিছুই বানানো নয়। সবই আমাদের নিজস্ব মুহূর্ত।’

মন্তব্য করুন